ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা মারার সময় ছাত্র শিবিরের উপজেলা সভাপতি তাজ উদ্দীনকে বাসচালক বাসচাপা দিয়ে আটকে দিয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ শিবির সভাপতিকে আহত অবস্থায় পেট্রোল বোমাসহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তার স্বীকারোক্তিতে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

রাজাপুর থানার ওসি এজেডএম মাসুদুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজাপুর উপজেলার বলাই বাড়ি এলাকায় ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাসে পিকেটিং শুরু করে পেট্রোল বোমা ছোঁড়ে শিবির কর্মীরা। এ সময় যাত্রীদের বাঁচাতে চালক শিবিরের সভাপতিকে চাপা দিয়ে বাসটিকে রাস্তার পাশের খাদে নামিয়ে দেয়। চালকের বুদ্ধিমত্বায় প্রাণ রক্ষা পায় বাসের ৩০ যাত্রীর। আর এসময় শিবির সভাপতি তাজ উদ্দীন বাসের ধাক্কা লেগে আহত হয়। আহত অবস্থায় আটক শিবির সভাপতিকে রাজাপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গ্রেফতার হওয়া শিবিরের সভাপতি তাজ উদ্দীন ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্তকন্দা গ্রামের মো. আলী সিকদারের ছেলে। এদিকে কৌশলে গাড়ি চালিয়ে পেট্রোল বোমা থেকে যাত্রীদের রক্ষা করায় ঈগল পরিবহনের চালক মো. আসাদকে ১০ হাজার টাকা পুরুস্কার প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে তার হতে এ টাকা তুলে দেন পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী। এসময় গ্রেফতার হওয়া রাজাপুর উপজেলা জামায়েতের সভাপতি মো. তাজ উদ্দিনসহ ১০ শিবিরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি পেট্রোল বোমা, জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও নায়েবে আমির মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছবি সম্বলিত পোষ্টার, তিনটি মোবাইল ফোন, সংগঠনের চাঁদা আদায়ের রশিদ দেখানো হয়। চলমান এসএসসি পরিক্ষা বানচাল করা ও বিভিন্ন স্থানে নাশকতা করার লক্ষে এরা কাজ করছিল বলে জানান, পুলিশ সুপার। এদিকে গ্রেফতার হওয়া ১০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও বিষেশ ক্ষমতা আইনে রাজাপুর থানায় একটি মামলা করেছে।

(এএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫)