স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : দক্ষিণ আফ্রিকার চাপে ভেঙ্গে পড়ার বদনাম আছে। সেই চাপ জয় করে এবার সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ফাপ দু প্লেসিসের দল। তিনটি ম্যাচই হারতে হারতে জিতেছে তারা। জয়ের অঙ্কটা যথাক্রমে ২, ৬ ও ৩ রানের ব্যবধানে। হারের শঙ্কায় পড়েও চাপকে উড়িয়ে জিতে মাঠ ছাড়ায় আত্মবিশ্বাসটা উঁচুতেই আছে তাদের।

৪ এপ্রিলের সেমিফাইনালে ভারতের স্পিনারদের সমীহ করলেও ভয় পাচ্ছেন না দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান জেপি দুমিনি, ‘ওদের স্পিনাররা অসাধারণ বোলিং করছে। ভারতের স্পিনারদের বিপক্ষে অবশ্য ভালো খেলার লক্ষ্য থাকবে আমাদের। এটা বড় একটা ম্যাচ। বিশ্ব টি-টোয়েন্টির সেমিফাইনাল। এর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। ভারতকে হারাতেই খেলব আমরা।’

দুমিনিও নিজে আছেন দারুণ ফর্মে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৯ রান করার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন ম্যাচজয়ী ৮৬ রানের ঝকমকে ইনিংস। আইপিএলে একই দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে অমিত মিশ্রর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তার। আইপিএলে একসঙ্গে খেলার ওই অভিজ্ঞতা বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে অমিত মিশ্রের বিপক্ষে সহযোগিতা করবে বলে বিশ্বাস তার, ‘শুধু আমি নই, অমিতের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে দলের অনেকের। এই আসরে অসাধারণ ফর্মে আছে ও। আমরা ওকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছি না। অবশ্যই আমাদের বাড়ির কাজগুলো ঠিকঠাক মতো করতে হবে। ম্যাচে পরিকল্পনা মতো এগোতে হবে আমাদের।’


ব্যাটে খারাপ সময় যাচ্ছে না এবি ডি ভিলিয়ার্সেরও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২৮ বলে ৬৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ‘ভারপ্রাপ্ত’ অধিনায়ক। তবে সেমিফাইনালটা আরেকটা নতুন দিনে, আরেকটা নতুন ম্যাচ; আগের অর্জনগুলো সেখানে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না। জিততে হলে ওই নির্দিষ্ট দিনটিতে ভালো খেলার কোনো বিকল্প নেই। সতীর্থদের উদ্দেশে দুমিনির তাই সতর্কবার্তা, ‘গত কয়েকটা ম্যাচে আমরা সফল হয়তো হয়েছি। তবে তার অর্থ এই নয় যে আমরা আবারও জিতবোই। আমরা জানি স্পিনারই ভারতের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।’

(ওএস/পি/এপ্রিল ০২, ২০১৪)