স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : প্রখ্যাত সাংবাদিক এবিএম মূসার স্মরণসভায় বক্তারা তাঁকে সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতার বাতিঘর হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলেন, বস্তুনিষ্ঠ, সৎ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মাধ্যমে এবিএম মূসা দেশের সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রকে উচ্চমাত্রায় আসীন করে গেছেন।

বক্তারা বলেন, নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকা সত্ত্বেও তিনি কখনো সাংবাদিতকতায় তার প্রতিফলন ঘটাননি। বরং গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা তথা জাতীয় স্বার্থে কখনো আপস না করে সামনের কাতারে থেকে লড়াই করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিকতায় যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়।

আজ জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান, ড. মিজানুর রহমান শেলি, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক গাজীউল হাসান খান, বিএফউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও শওকত মাহমুদ, সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া ও এম এ আজিজ, দৈনিক মানব জমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুবায়েৎ ফেরদৌস ও অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সিনিয়র সাংবাদিক শামসুদ্দিন আহমেদ পেয়ারা, আবদুর রহিম, কেজি মোস্তফা, মো. কামরুজ্জামান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডিইউজের (একাংশের) সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ ও পরিচালনা কমিটির সদস্য এবিএম মূসার মেয়ে পারভিন সুলতানা ঝুমা, ডিইউজের (একাংশের) সভাপতি আব্দুল হাই শিকাদার, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান ও বিএফইউজের (একাংশের) সিনিয়র সহসভাপতি এম আবদুল্লাহ বক্তৃতা করেন।
সভায় ড. আনিসুজ্জামান এবিএম মূসার স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি পেশাগত পরিমণ্ডলে নিজকে সীমাবদ্ধ না রেখে গণতন্ত্র, স্বাধীকার আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। পরে দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে দেশের প্রতিটি সংকটে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।


ড. মিজানুর রহমান শেলি বলেন, এবিএম মূসা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার মাধ্যমে নিজেকে জাতির বিবেকে পরিণত করেছিলেন।


মঞ্জুরুল আহসান খান বুলবুল বলেন মূসা ভাই ছিলেন প্রয়োগিক সাংবাদিকতার শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার প্রয়োগিক শিক্ষা খুব কমই দেওয়া হয়। অথচ সাংবাদিকতায় প্রয়োগিকতা খুবই জরুরি। আর এবিএম মূসা নবীন সাংবাদিকদের সে শিক্ষা দিয়ে পেশাকে সমৃদ্ধ করেছেন।


শওকত মাহমুদ বলেন, এবিএম মূসা শুধু সফল সাংবাদিকই ছিলেন না, তিনি একজন সফল মানুষও ছিলেন। জাতির যেকোনো সংকটের মুহূর্তে তিনি স্পষ্ট কথা বলতে কখনো পিছ পা হননি ।


স্মরণসভার শুরুতে মরহুম এবিএম মূসার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ ছাড়া আলোচনার শুরুতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ এবিএম মূসার স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধাপত্র পাঠ করেন।

(ওএস/অ/মে ০৮, ২০১৪)