মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের বাহারবাগ গ্রামে সোম ও মঙ্গলবার সকালে কয়েক দফা সংর্ঘষে আওয়ামীলীগের  ২০ নেতা কর্মীর বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার সকালে গোপাল গ্রাম গেলে স্থানীয় ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা বাদশা মোল্যা জানান গোপালগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক লিয়াকত হোসেনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে তাদের সামাজিক দলাদলি চলে আসছিল। গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লিয়াকতের বিপরীতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছিলেন তিনি। এসময় বিরোধ আরো চরমে পৌছে। নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময়ে লিয়াকতের লোকজন তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছিলো এবং তাদের দলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছিল। এরই এক পর্যায়ে রবিবার আমার কিছূ নেতাকর্মী জেলা শহরে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের মানবন্ধনে যোগ দিলে এ নিয়ে লিয়াকতের সমর্থকদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরদিন সোমবার সকালে লিয়াকত হোসেন ও মন্টু বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপির সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে কয়েক দফায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। মঙ্গলবার সকালে পুনরায় বিএনপি সমর্থকরা আমার দলের নান্নু মোল্যা, গোলাম রসূল মোল্যা, সবুর মোল্যা, লুৎফর মোল্যা, মন্নু মোল্যা, গোলজার জোয়ারদার, সমির উদ্দিন মিয়া নূর ইসলাম রোস্তম মোল্যা, আমজাদ মোল্যা, সোরাপ হোসেন, খায়রুল ইসলামসহ অন্তত ২০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।
শুকুরননেছা নামের এক বৃদ্ধা জানান আমি একাত্তরের ঘটনা দেখেছি। এ ঘটনা একাত্তরকেও হার মানিয়েছে। ওরা ভাংচুরের সাথে ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
তবে বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ হামলার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। সামাজিক দলাদলি নিয়ে বাদশা মোল্যার সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।
গোপালগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল মোমিন জানায়, পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(ডিসি/পিবি/ফেব্রুয়ারি ১০,২০১৫)