স্টাফ রিপোর্টার : ১০ লাখ আইটি পেশাদার তৈরির মাধ্যমে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বছর প্রতি তথ্য-প্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’ মেলায় মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে আগামী ৫ বছরে লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঞ্চালনায় মিনিষ্ট্রিয়াল কনফারেন্সে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের মহাসচিব হাওলিন ঝাও, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ভুটান ও নেপালের মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে প্রতিবছর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এক কোটি বাড়বে। জিডিপিতে আইটি খাতের অবদান হবে এক শতাংশ।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি’। কিন্তু, আজ আমরা অবশ্যই তলাবিহীন ঝুড়ি নই।

সজীব ওয়াজেদ জয় তার প্রবন্ধে বলেন, ২০০৮ সালে দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ। ২০১৪ সালে এই হার হ্রাস পেয়ে ২৬ শতাংশ হয়েছে। আর সাক্ষরতার হার ছিল ৪৯ শতাংশ। আজ ৬৫ শতাংশে নিয়ে এসেছে বর্তমান সরকার।

সারাদেশে ইলেকট্রিসিটি গ্রিড ২৭ থেকে ৬২ শতাংশ, ইন্টারনেট ০.৪ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশ, মোবাইল ফোন গ্রাহক ২০ মিলিয়ন থেকে ১২০ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, সারাদেশে ৫৩ হাজার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সহজেই সরকারি সব সেবা নিতে পারছেন। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ভূমি রেকর্ড, পরীক্ষার ফলাফল, সরকারি বিভিন্ন ফরম, মোবাইল ব্যাংকিং, লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইংরেজি শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরামর্শ আজ ডিজিটাল হয়েছে। ল্যান্ড রেকর্ডসহ সরকারি বিভিন্ন সেবা পেতে কয়েক সপ্তাহ লাগতো।

এখন তা ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় ৯০ শতাংশ কমে গেছে। ভ্রমণ খরচ অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে গ্রাম থেকে কাউকে শহরে যেতে যাতায়াত খরচ, থাকা, খাওয়াসহ অনেক খরচ লাগতো। এখন তার কিছুই লাগছে না। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট এখন আমাদের, যেখানে ৫০ হাজারের বেশি লোক কাজ করছেন।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫)