স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : গত বছরের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়া সফরে যায় ভারত। চার টেস্টের দুটিতে হার ও দুটি ম্যাচে নিষ্প্রাণ ড্র করে ভারত। জয়হীন টেস্ট সিরিজ শেষে তারা অংশ নেয় ত্রিদেশীয় সিরিজে। সেখানেও ধোনিদের কাছে জয় যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়।

চারটি ম্যাচেই হেরে যায় ভারত। আর একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তাই ত্রিদেশীয় সিরিজও তাদের কাটে জয় ছাড়াই। বিশ্বকাপের আগে চ্যাম্পিয়ন দলটির এমন পারফরম্যান্স বোধ হয় কারো কাম্য নয়। তাই একটি জয়ের খোঁজে নামে ভারত। ক্রিকেট মহাযজ্ঞের মূল আসরের আগে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে জয়ের জন্য আফগানিস্তানকে বেছে নেন ধোনি-কোহলি-রোহিতরা!

এ মিশনে সফলও হয়েছেন তারা। মঙ্গলবার আফগানদের ১৫৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। জয়ের নায়ক বিশ্বরেকর্ডধারী রোহিত শর্মা। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান তোলে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। জবাবে ৮ উইকেটে ২১১ রান তুলতে সক্ষম হয় মোহাম্মদ নবীর আফগানিস্তান।

অ্যাডিলেড ওভালে মঙ্গলবার টস করতে নামেন দুই অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। এতে জয় পান ভারতের অধিনায়ক ধোনি এবং প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ১৬ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে কী বিপদেই না পড়ে ভারত! আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা শেখর ধাওয়ান করেন মাত্র চার রান। আর দলের অন্যতম ভরসা বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে আসে মাত্র পাঁচ রান।

কিন্তু রোহিত শর্মা, আজিঙ্কা রাহানে ও সুরেশ রায়না ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন। যে কারণে তিন শতাধিক রান তুলতে সক্ষম হয় ভারত। ১২২ বলে ১২ চার ও সাত ছক্কায় ১৫০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন রোহিত। তিনি ধরাশায়ী হন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর বলে। এদিকে সুরেশ রায়না ৭১ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৭৫ রান করার পর রানআউটের শিকার হন। ৬১ বলে ১২ চার ও দুই ছক্কার মারে ৮৮ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন রাহানে।

১০ রান করে শাপুর জারদানের বলে নওরোজ মঙ্গলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক ধোনি। রবীন্দ্র জাদেজা ১০ বলে ১১ রান নিয়ে ক্রিজে ছিলেন। আট ওভার বল করে ৪৯ রানে এক উইকেট নিয়ে আফগান দলের সেরা বোলার হামিদ হাসান। এ ছাড়া দৌলত জারদান, শাপুর জারদান ও মোহাম্মদ নবীর দখলে যায় একটি করে উইকেট।

৩৬৪ রানের অসম্ভব লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ধীর গতির ব্যাটিং করে আফগানিস্তান। ২৪ ওভারে করে ১০১ রান এবং মূল্যবান দুটি উইকেট হারায়। এরপর ঝুঁকি নিয়ে খেলতে থাকেন আফগান ব্যাটসম্যানরা। সপাটে ব্যাট চালালে আফগানদের উইকেটও পড়তে থাকে সমান তালে। তিন উইকেটে দলীয় রান যেখানে ১৫৩, আর বাকি সাত উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস থেমে যায় মাত্র ২১১ রানে!

আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস আসে নওরোজ মঙ্গলের ব্যাট থেকে। ৪৪ রান করেন ওসমান গনি। আফসার জাইদির ব্যক্তিগত ইনিংস থেমে যায় ২৪ রানে। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোহিত শর্মা ও রবীন্দ্র জাদেজা। একটি করে উইকেট দখলে নেন উমেশ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও সুরেশ রায়না।

(ওএস/পি/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫)