সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়ায় ভুয়া কবিরাজ আলেজ উদ্দিন মণ্ডলের অপকর্মের শিকার হয়েছে এক নববধু। সে সিংড়া উপজেলার ১১নম্বর ছাতারদিঘী ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত রামনগর গ্রামের বাসিন্দা তার স্বামী ভারসাম্যহীন বলে জানা গেছে। ভুয়া কবিরাজ আলেজ উদ্দিন মণ্ডলের বাড়ি উপজেলার পাশ্ববর্তী সীমান্ত এলাকা নন্দীগ্রাম উপজেলার পন্ডিতপুকুর গ্রামে।

ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ই ফেব্রুয়ারি কবিরাজের বাড়িতে। এঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার ও সহযোগিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ওই এলাকার জনসাধারণ। তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার মূল হোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সানোয়ার, মাসুদ ও হাচেনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চান। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা না হওয়ার এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


এদিকে সরেজমিনে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ভুয়া কবিরাজ আলেজ উদ্দিন মণ্ডলের বাড়িতে গেলে তার বাড়িটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এসময় প্রতিবেশীরা জানায় আলেজ মূলত রাজমিস্ত্রীর কাজ করে।

এ বিষয়ে ধর্ষিতার স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, প্রায় ৩মাস আগে তার বিয়ে হয়। স্বামীর চিকিৎসার প্রয়োজনের কথা বলে ভাসুরের স্ত্রী, ননদ ও তার স্বামী ওই ভুয়া কবিরাজ আলেজ এর কাছে নিয়ে যায়। ওইদিন সকলকে অন্য একদিন আবারো সেখানে যাওয়ার কথা বলে আলেজ । পরে গত ৪ই ফেব্রুয়ারি আবারো আলেজ এর বাড়িতে গেলে সেখানে নববধূ ও তার স্বামীকে রেখে নানা তালবাহানায় বাহিরে চলে যায় ভাসুরের স্ত্রী ও ননদ। এসময় স্বামীর সম্মুখেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ওই ভুয়া কবিরাজ পরিচয়ে রাজমিস্ত্রী আলেজ উদ্দিন। কান্নাকাটির এক পর্যায়ে বাহির থেকে দুইজন দরজা ধাক্কা দিলে তাকে ছেড়ে দেয় আলেজ।

স্থানীয় ইউপি মেম্বর রেজাউল করিম বাবলু বলেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এই গ্রামের সানোয়ার, মাসুদ ও হাচেন ওই ভুয়া কবিরাজের কাছ থেকে মিমাংশার কথা বলে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা নিয়ে এখন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ রাশেদা পারভীন বলেন, এ ঘটনাটি তার জানা নাই।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, এখনো থানায় কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে ঘটনার তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনানুক শাস্তি দেয়া হবে।

(এমএআর/এএস/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫)