ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লেট্রিনগুলোর বেহালদশা। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লেট্রিন একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে কামলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য চরম হুমকিতে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। সদরের স্কুলগুলোর চেয়ে গ্রামের স্কুলগুলোর অবস্থা আরও করুন। শিক্ষকদের ব্যবহৃত লেট্রিনটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলেও কোমলমতি শিশুদের নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই কারোরই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজাপুর ৩০নং সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন দুটি লেট্রিনের বেহালদশা দীর্ঘদিন ধরে। এ বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণীসহ ৬ টি শ্রেণীতে বিভিন্ন শাখায় ৯ শতাধিক শিশু লেখপড়া করছে। এদের জন্য দুটি লেট্রিন রয়েছে। যাহা দীর্ঘদিন ধরে নোংড়া হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিভিন্ন সময় শিশুদের পায়খানা ও প্রসাবের কাজ সারতে এখানে সেখানে বসতে হচ্ছে। অথবা পায়খানা ও প্রসাব না করতে পেরে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। শিশুদের পায়খানা নোংড়া ও ময়লা আবর্জনায় আটকে থাকলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা পরিস্কার না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ৯ শতাধিক শিশু এ স্কুলে লেখাপড়া করলেও কর্তৃপক্ষ বছরে মাত্র একবার লেট্রিন পরিস্কার করে আসছে কিন্তু অভিভাবকরা দাবি করেন অন্তত প্রতি ৩মাস পর পর পরিষ্কার করা হোক। অভিভাবকরা আরো বলেন, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য পরিপাটি পায়খানা আছে এবং নিজস্ব সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু কোমলমতি শিশুদের লেট্রিনে কোন সময়েই সাপ্লাই পানির ব্যবস্থা ছিলনা। বর্তমানে পানি ব্যাবহারের জন্য ওই লেট্রিনে কোন পাত্রের ব্যাবস্থাও নেই। বিদ্যালয়ের মাঠের যে প্রান্তে লেট্রিন রয়েছে তার অপর প্রান্তে টিউবয়েল থাকায় শিশুদের জন্য পানি আনাও অনেক কষ্টকর। এ বিদ্যালয়টি বিভিন্ন জাতীয় পরীক্ষার হল হিসাবে ব্যাবহার হয়। বর্তমানেও এসএসসি পরীক্ষার হল রয়েছে। তাই এসকল পরীক্ষার্থীরা লেট্রিনের অভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ জানান, এ সম্পর্কে আমার কিছু করার নেই, ওটা প্রধান শিক্ষককরা দেখবেন। এ বিষয়ে সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহামুদা খানম জানান, নতুন লেট্রিন নির্মানের প্রক্রিয়া চলছে। নতুন লেট্রিন হলে এ সমস্যা দূর হবে।

(এসএম/পি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫)