কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নে সার্কাসের নামে রাতভর চলছে অশ্লীল অর্ধ নগ্ন নৃত্য,লটারী ও জুয়াখেলা। আর ওই সার্কাসের নামে প্রতি রাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় প্রশাসনকে মেনেজ করে উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরী মেলায় সার্কাসের নামে আবৈধ ভাবে চলছে অর্ধ নগ্ন নৃত্য লটারী ও জুয়াখেলা।

সিদ্ধেশ্বরী নামক স্থানে দীর্ঘদিন থেকে সার্কাসের নামে চালাছে নগ্ন নৃত্য লটারী ও জুয়াখেলার আয়োজন করেছে ওই এলাকার কিছু প্রভাবশালি নেতারা ।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয় সূএে জানা গেছে, সার্কাস খেলা না করে সারারাত কয়েকজন নর্তকী নগ্ন নৃত্য পরিবেশন করে ,আর চলে জুয়া খেলা ও মদ্য পান । উলিপুর ছাড়াও জেলা এবং বিভিন্ন উপজেলার জুয়ারিরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিরাতে স্থানীয় প্রশাসনকে মোটা অংকের উৎকোচ দেওয়া হয় বলে ওই সব অবৈধ কর্মকাণ্ডে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের কয়েকজন অভিভাবক বলেন সার্কাস জুয়ার ঢোল বাদ্যযন্ত্র মাইক’র শব্দে রাতে মানুষের ঘুম ও এলাকার শিক্ষার্থী দের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে কিন্তু আয়োজকরা এলাকার প্রভাব শালি নেতা হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না ।
তারা আরও বলেন অনেক সময় আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছেলেরা সার্কাসের নামে নগ্ন নৃত্য দেখে ও জুয়া খেলে । এতে করে তাদের নৈতিগতা নষ্ট হচ্ছে ।
নাম প্রকশে আনিচ্ছুক এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান,অব্যহত ভাবে উলিপুর উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে সার্কাসের নামে অর্ধ নগ্ন নৃত্য লটারী জুয়া খেলা চলার কারণে ত্রলাকার শিক্ষার্থী দের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে ।এতে করে তারা বিপথ গামী হচ্ছে ।
এলাকাবাসির আভিযোগে আরো জানাযায় সার্কাসের নামে রাতভর অশ্লীল অর্ধ নগ্ন নৃত্য, লটারী ও জুয়াখেলা বন্ধের বিষয়ে ধামশ্রেনী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মানিক মিয়াকে বহুবার বলা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাই এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের জেলা প্রসাশক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আভিযোগ করি।

(এআরএম/এএস/মে ০৯, ২০১৪)