স্টাফ রিপোর্টার : ৬২'র নিউক্লিয়াস, জাসদ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি এবং অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরেফ আহমেদ এর ১৬তম শাহদাৎ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি এমন মন্তব্য করেন।

আজ সকাল সাড়ে দশটায় বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন 'র উদ্যোগে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ অনলাই অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম-বোয়াফ সভাপতি ব্লগার কবীর চৌধুরী তন্ময়, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ভাসানী আরও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি মন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ খালেদা জিয়ার সকল হরতার-অবরোধকে তোয়াক্কা না করে জন-জীবন সচল রাখার কারনে এখন যনগণকে নিয়ে নানান ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। একের পর এক হত্যা, গুপ্ত হত্যা, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেও বেগম খালেদা জিয়ার মনের আগুন নিবাতে পারছে না।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি আরও বলেন, মান্না-ড. কামাল গ্ংরা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন। পুত্র হারানো মাকে শান্তনা দিয়েছেন কিন্তু একবারের জন্যেও বলেনি দেশের শত শত মায়ের আহাজারির কথা, মায়ের বুক খালি হবার কথা। একবারও বলেনি পেট্রোলবোমা বন্ধ করার কথা।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, লন্ডনে বসে খোকা সাহেব বড় বড় কথা বলেন। আওয়ামী লীগকে ঢাকা থেকে বেড় করার সময় নির্ধারণ করেন। সাহস ও শক্তি থাকলে দেশে আসুন আর দেখুন আওয়ামী লীগ দেশে ও বিদেশে আজ কতটা শক্তিশালী।

শাহে আলম মুরাদ আরও বলেন, আমরা প্রস্তুত। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আপনার এই কথা জবাব দিতে। খালেদা জিয়ার কুপুত্র তারেক জিয়ার মত লন্ডনে বসে বসে বড় বড় কথার জবাব বাঙালি জাতি একদিন নিশ্চয়ই দিবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম-বোয়াফ সভাপতি ব্লগার কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, স্বাধিনতাবিরোধী শক্তি শুধু ব্যক্তি কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যা করেনি, হত্যা করার চেষ্টা করেছিল তার আদর্শকে, হত্যা করার চেষ্ঠা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপ্নকে, হত্যা করার চেষ্ঠা করেছিল অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশকে।

ব্লগার কবীর চৌধুরী তন্ময় আরও বলেন, যে লক্ষে আমাদের পূর্বপুরুষরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সে লক্ষ আজও প্রতিষ্ঠিত হযনি। আমার একটি লেখা পছ্ন্দ না হলে আমার কলম কেড়ে নেওয়ার চেষ্ঠা হচ্ছে, আমার একটি ছবি পছন্দ না হলে সেখানে এসিড নিক্ষেপ করা হচ্ছে, আমার গণতন্ত্র পছন্দ না হলে সেখানে পেট্রোল বোমায় হত্যা করা হচ্ছে।

এই ব্লগার আরও বলেন, আজ আমাদের সকলের প্রিয় ব্লগার রাজিব হায়দারের ২য় শাহদাৎ বার্ষিকী। ১৩'র এই দিনে জঙ্গী ও মৌলবাদ শক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের ধারক-বাহক রাজিব হায়দারকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমি আজকের এই দিনটিকে 'ব্লগার হত্যা' দিবস হিসেবে গণ্য করতে চাই এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোযোগ কামনা করছি।

পরে কাজী আরেফ আহমেদ ও ব্লগার রাজিব হায়দারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম-বোয়াফ সভাপতি ব্লগার কবীর চৌধুরী তন্ময়।

শহীদ কাজী আরেফ আহমেদের ১৬তম শাহদাৎ বার্ষিকীর স্মরণ সভায় মুশফিকুর রহমান মিন্টুর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাসুদ আহমেদ।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫)