নওগাঁ প্রতিনিধি : দেশ-ব্যাপী বিএনপি-জামায়াত জোটের লাগাতার অবরোধ-হরতালে নওগাঁবাসী অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিকরা ইতোমধ্যেই বিক্ষুব্ধ হযে উঠেছে। হরতাল চলাকালে বিএনপি ও জামায়াত ঘরানার ব্যক্তিদের দোকান-পাট আংশিক খোলা রেখে রীতিমত ব্যবসা চালিয়ে গেলেও সেদিকে পিকেটারদের নজর নেই। তবে সাধারন ব্যবসায়ীরা অতীব প্রযোজনে একটুক্ষনের জন্য দোকানের ঝাপ খুললেই সেখানে পিকেটাররা যেন হামলে পড়ে। এমনকি হোটেল-রেস্তরা হরতালের আওতামুক্ত হলেও অতিউৎসাহী পিকেটাররা হোটেল-রেস্তরার ঝাপ খুলতে দেয়না। ফলে হোটেল-রেস্তরা বা মিষ্টির দোকানে কর্মরত কর্মচারীদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের হোটেলপট্টি ও কাপড়পট্টির কয়েক ব্যবসায়ী জানান, নওগাঁ শহরে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে সবসময়। এছাড়া পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি শহরে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এ অবস্থায় যদি আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা প্রযোজনে পুলিশ পাহাড়ায় তাদের নিজের দোকান একবার সাহস করে খোলে, তাহলে শহরের সকল দোকান খুলে যাবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এখানে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার কোন লোক নেই। সাধারন ব্যবসায়ীরা শুধু আওয়ামীলীগের ব্যবসায়ীদের মুখের দিকে চেয়ে আছে। খোদ বিএনপির ব্যবসায়ীদেরও দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। শহরের একটি করে পট্টি বা মহল্লায় পুলিশ-বিজিবির সহায়তায় আওয়ামীলীগের ব্যবসায়ীরা দোকান খুললেই সাধারন ব্যবসায়ীরা আর হরতাল মানবেনা। দীর্ঘ ১ মাস ১০দিনে প্রতিটি মানুষের যেন নারীতে টান পড়ে গেছে। রবিবার হরতালে দূর-পাল্লার গাড়ি ছাড়া জেলার অভ্যন্তরিন সকল রুটে যানবাহন চলাচল করেছে।
(বিএম/পিবি/ফেব্রুয়ারি ১৫,২০১৫)