নাটোর প্রতিনিধি : রবিবার নাটোরে সজীব হোসেন (২৩) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে তার অন্য সহযোগীরা প্রকাশ্যে গুলি করে আহত করে। গুলিবিদ্ধ সজীবকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে গুলিবিদ্ধ সজীব হোসেন বা এর সঙ্গে জড়িতরা কেউ যুবলীগ কর্মী নয় বলে দাবি করেছেন সংগঠনের এক শীর্ষ নেতা। এঘটনার সাথে যুবলীগের কোন সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করে বিষয়টি তাদের নিতান্ত ব্যাক্তিগত বলে জানান ওই নেতা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গুলিবিদ্ধ সজীবের ভাই সুজন জানান, তার ভাই সজীব যুবলীগ করে। সে রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের মল্লিকহাটিতে নিজ বাড়িতে শুয়ে ছিল। এ সময় সজীব বাড়িতে আছে নিশ্চিত হয়ে চারটি মোটরসাইকেলে করে ১০/১২ জন তাদের বাড়িতে এসে মোবাইলে সজীবকে বাড়ি থেকে ডেকে বের করে। সজীব বের হয়ে এলে তাকে জাপটে ধরে মল্লিকহাটি প্রাইমারী স্কুলের কাছে রাখা তাদের মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় সুজন, তার মা-খালা ও নানীসহ নিকট আত্মীয়রা সজীবকে টেনে হেঁচরে তাদের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। টানা হেঁচরার এক পর্যায়ে সজীব মাটিতে পরে যায়। এ সময় তারা সজীবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার দু’পায়ের হাঁটুতে পর পর দু’টি গুলি করে। পরে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে তারা সবাই মোটরসাইকেলে করে চলে যায়। ঘটনার পরপরই সুজনসহ তার আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীরা গুলিবিদ্ধ সজীবকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া জানান, বিষয়টি নিতান্তই তাদের ব্যক্তিগত। এ ঘটনার সাথে যুবলীগের কোন সর্ম্পক নেই। তারা কেউ যুবলীগ কর্মীও নন।

নাটোর থানার ওসি মিজানুর রহমান মিজান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। তারা হামলাকারীদের নাম পেয়েছেন। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।

(এমআর/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫)