নাটোর প্রতিনিধি : ককটেলের আগুনে দগ্ধ নাটোরের ক্ষুদে কলা বিক্রেতা মধু কুমার সাহার (৪৭) চিকিৎসার টাকা নেই। তিনি ঢকার সোহরাওয়র্দিী হাসপাতালে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৭ নম্বর বেডে এক মাস ধরে ডা: মো: মোস্তাপিলের তত্ত্বাবধানে  চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। আরও ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা প্রয়োজন। এ টাকা যোগাড় করা মধুর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ধার দেনা করে এ পর্যন্ত চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করেছে তার পরিবার। চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে কোন সাহায্য পায়নি মধু।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কলা বিক্রি করে নাটোর শহরের কাপুডিয়াপট্রি মহল্লায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও ৬ বছরের এক কন্যা নিয়ে কোন ভাবে চলছিল মধুর সংসার। কিন্তু ২৫ জানুয়ারী মধুর জীবনে নেমে এক চরম দুর্ভোগ। শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় ফুটপাতে বসে কলা বিক্রি করছিল সে। ওই দিন সন্ধার কিছু সময় আগে হঠাৎ একটি ককটেল বিষ্ফোরিত হয় মধুর কোলের ওপর। এতে দগ্ধ সহ গুরুতর আহত অবস্থায় মধুকে প্রথমে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নেওয়া হয়। ওই রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪ দিন পর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়।

মধুর স্ত্রী লক্ষী রানী সাহা জানান, ককটেলে মধুর শরীরের পিঠ, সামনের কুচকির উভয় অংশ, পুরুষাঙ্গ ও দুই পা পুড়ে গেছে। ধার দেনা করে এতদিন চিকিৎসার খরচ চলেছে। আরও টাকা প্রয়োজন। এই টাকা কোথায় পাবে তারা ?

যন্ত্রনায় কাতর মধু জানায়, শরীরের যন্ত্রনা তো আছে। এর ওপর কোথা থেকে চিকিৎসার টাকা পাবে। ধারের টাকাই বা কিভাবে পরিশোধ করবে? কিভাবে চলবে সংসার? এই নিয়ে চরম মানসিক দু:চিন্তায় আর অশ্চিয়তার মধ্যে দিন কাটচ্ছে তার।

(এমআর/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫)