লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী মাহাবুবুল আলমের কঠোর হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে বদরপুর দারুল কোরআন দাখিল মাদ্রাসীর পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার। ফলে সে আগামী শুক্রবার সহপাঠিদের সাথে দাখিল পরীক্ষা দিতে পারবে।

সুত্রে জানায়,বদরপুর ছৈয়াল বাড়ির প্রবাসী আমির হোসেনের মেয়ে দাখিল পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তারকে পরিবারের সদস্যরা জোর করে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাসন্দি গ্রামের মৃত আলী আহমেদের পুত্র মোঃ সোহাগ হোসেনের সাথে সোমবার বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে রোববার দুপুরে ইউএনও কাজী মাহাবুবুল আলম বিয়ের কাজ বন্ধ করতে করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিবকে নির্দেশ দেয়। ইউএনও-ও নির্দেশ পেয়ে চেয়ারম্যান বিয়ের কাজ বন্ধ রাখতে ফাতেমার অভিভাবকে অনুরোধ করে। কিন্তু ফাতেমার পরিবার প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গল দেখিয়ে বিয়ের আয়োজন করতে থাকে। সোমবার বিয়ের পুর্ব মুহুর্তে ইউএনও মুঠোফোনে ছাত্রীর মাকে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে মর্মে জানিয়ে দিলে বর পক্ষের লোকজন চলে যায়। এতে ছাত্রী ফাতেমা বিয়ে থেকে রক্ষা পায়। করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব বলেন,খবর পাওয়া মাত্রই আমি বিয়ের আয়োজন বন্ধ করতে ছাত্রীর পরিবারকে জানিয়েছি। তারা আমার কথা না শুনলে প্রশাসন প্রশানিক ব্যবস্থা নিবে। ইউএনও কাজী মাহাবুবুল আলম বলেন,বন্ধ করে দেওয়ায় বাল্য বিয়ে গোপনে হলেও আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।
(এমআরএস/পিবি/ফেব্রুয়ারি ১৬,২০১৫)