বেতাগী পিআইও’র বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বেতাগী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শামীমা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কাজের সমুদয় টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে বরগুনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এলএফ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ফরহাদ জমাদ্দার। পিআইও’র কাছে সাত দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে একটি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদার ফরহাদ জমাদ্দার অভিযোগ করেন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বেতাগী উপজেলায় রাস্তায় ছোট ছোট সেতু-কালভার্ট নির্মাণ (৩য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ির পাশের খালের ওপর ৩৬ ফুট দীর্ঘ সেতু নির্মাণ কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলএফ এন্টারপ্রাইজ। ওই কাজের মোট প্রাক্কলন ব্যায় ধরা হয় ২৫ লাখ ২১ হাজার টাকা। কার্যাদেশ পাওয়ার নির্দিষ্ট সময় ৬০ দিনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করা হয়। কাজ সমাপ্তির পর বিল চাইলে পিআইও ফান্ড বা বরাদ্দ নেই- এমন অযুহাতে বিল দিতে গড়িমসি করতে থাকেন। পরে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখা যায় স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কাজের সমুদয় বিল ও জামানতের টাকা উত্তোলন দেখানো হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শামীমা আক্তার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিলের টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে ঠিকাদারের অভিযোগ অযৌক্তিক। একজন সরকারি কর্মকর্তার পক্ষে স্বাক্ষর জাল করে এতগুলো টাকা আত্মসাতের বিষয়টি বিশ্বাসের অযোগ্য। মূলত এসব টাকা ঠিকাদার তার প্রতিনিধির মাধ্যমে উত্তোলন করে নিয়েছেন। নিয়মানুসারে ঠিকাদারের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর যাচাই বাছাইয়ের পর বিল পরিশোধ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের প্রতিনিধির কাছে কোনো বিল পরিশোধ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী বলেন, আমি সদ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বেতাগী উপজেলায় যোগ দিয়েছি। ওই কাজের সময় আমি বেতাগীতে কর্মরত ছিলাম না। তবে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
(এমএইচ/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫)