মাগুরা প্রতিনিধি : সদর উপজেলার আঙ্গারদাহ গ্রামে এক সংখ্যালঘু পরিবারের ৫৭ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী প্রতিবেশীরা । নিরীহ অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক অখিল চন্দ্র বিশ্বাস ও তাঁর পাঁচ ভাই নিরাপত্তার অভাবে সে জমির ধারে কাছে যেতে পারছেন না। প্রায় ৫৫ বছর যাবত নিজেদের ভোগ দখলে থাকা পৈতৃক জমি হারিয়ে এ সংখ্যালঘু পরিবার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

নিরুপায় হয়ে শিক্ষক অখিল চন্দ্র বিশ্বাস মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন। অভিযোগের বর্ণনা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্কুল শিক্ষকের পিতা সতিশ চন্দ্র বিশ্বাস ও ২ কাকা আঙ্গরদাহ মৌজার ৯৮ নং খতিয়ানের ২০১ নং দাগের ৫৭ শতক জমি বিগত ১৯৬১ সালের ১৮ এপ্রিল তারিখে ৩০৩৮ নং রেজি: কবলা দলিল মূলে খরিদ করেন। সে সময় থেকে বংশানুক্রমে শিক্ষক অখিল চন্দ্র বিশ্বাস ও তার পাঁচ ভাই এ সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন। হাল মাঠ জরিপেও আঙ্গরদাহ মৌজার ৬নং খতিয়ানে ২২৪ নং দাগে ডাঙ্গা শ্রেণীভুক্ত হিসেবে ওই ৫৭ শতক জমি শিক্ষক অখিল চন্দ্র বিশ্বাস ও তার ৫ ভাইয়ের নামে ফাইনাল পর্চা বের হয়েছে। ওই জমির পাশে বসবাসকারী হাফিজার লষ্কর, তার ভাই মোসলেম, আক্কাস, গোলাম, বাকিয়ার, ফারুক এ যাবত বর্গাচাষী হিসাবে জমিটি চাষাবাদ করছিলেন। হঠাৎ করে তারা এখন ওই জমি ক্রয় সূত্রে মালিক বলে ঘোষণা দিয়ে জমিটি জবর দখল করে নিয়েছেন। দীর্ঘ ৫৫ বছর পর বর্গাচাষীদের কারসাজিতে এভাবে জমি বেদখল হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে জমি দখলকারী হাফিজার লষ্করের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জবর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং জনৈক প্রেম চাঁদ মন্ডলের কাছ থেকে জমিটি কিনেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। তবে প্রেমচাঁদ নামের কোন ব্যক্তির বা প্রেমচাঁদের ওয়ারেশদের কারো নামে ওই জমির কোন রেকর্ড পত্র নেই বলেও তিনি স্বীকার করেন।

(ডিসি/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫)