জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসসহ প্রায় শতাধিক কক্ষের তালায় সুপার গ্লু দিয়েছে কে বা কারা। চার দফা দাবিতে ছাত্রদলের ডাকা চার দিনের সর্বাত্মক ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।

সকালে নতুন কলা ভবনের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের কর্মকর্তারা তালা খুলতে গেলে সুপার গ্লু দেয়ার বিষয়টি নজরে আসে। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে নিরাপত্তা কর্মচারীরা প্রায় ২৯টি তালা কেটে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।

প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, বহিষ্কৃত ছাত্রদের আদেশ প্রত্যাহার ও পরীক্ষা দানে সুযোগ, আটক ছাত্রনেতাদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার এবং সহবস্থান নিশ্চিতের দাবিতে গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

কলা ও মানবিক অনুষদের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, সকালে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা থাকায় বিভিন্ন কক্ষের তালা খুলতে এসে দেখি তালা খুলছে না। পরে নিরাপত্তা কর্মীদের খবর দিলে তারা এসে প্রায় ২৯টি তালা কেটে কক্ষ খুলে দিয়ে যান।

শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ শুভ বলেন, আমরা প্রক্টরের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধর্মঘটের সমর্থনে বিভিন্ন বিভাগের তালায় সুপার গ্লু দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, বিভিন্ন বিভাগের কক্ষের তালা কাটা হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীদের সনাক্ত করা হবে।

উল্লে­খ্য, গত ১৯ জানুয়ারি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা পুলিশ নিয়ে মার্কেটিং বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী ফয়সাল রাব্বী রিয়াদকে আটক করতে যায়। এসময় সহকারী প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইনসহ অন্যান্য সহকারী প্রক্টররা ছাত্রদল কর্মী রিয়াদকে ধরে বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। এসময় তার বন্ধুরা বাধা দিলে সহকারী প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন লাঞ্ছিত হন। পরে রিয়াদ ও সনেট নামে এক সাধারণ ছাত্রকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫)