মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা স্টেডিয়াম পাড়ার ইসলামী মহিলা কারিগরী বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের ৫ দিন পর পারিবারিক ভাবে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পাশবিক নির্যাতনের শিকার অসুস্থ  ছাত্রীকে মঙ্গলবার সকালে মাগুরা সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

পাশবিক নির্যতনের শিকার ঐ ছাত্রীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল ছুটির পর তার বান্ধবী মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়ার জালাল মিয়ার লুটাশ তার ফুপুর বাড়িতে নিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে বাসায় ফিরে আসার কথা বলে বের হয়। পরে মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর নিশং জুট মিল এলাকায় একটি বাড়ি নিয়ে ঘরের মধ্য তাকে আটকে রাখে। রাতে খালিমপুর গ্রামে রেজা জোর্য়াদ্দারের বাড়িতে নিয়ে লুটাশের পূর্ব পরিচিত রেজা, মধুসহ ৩ যুবক তাকে জোরপূর্বক পাশবিক নির্যাতন করে। পর দিন সকালে ঐ যুবকদের সহায়তায় তাকে অচেতন করে লুটাশ ঝিনাইদহ শহরে নিয়ে মামুন পরিবহনে ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে লুটাশসহ তার আরেক সহযোগী সোহেল রানার উত্তরার আজমপুর মাজার রোডের বালুর মাঠ এলাকার রতন গাজীর ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর এবং ভয়ভীতি দিয়ে সোহেল রানা ৩দিন আটক রেখে পাশবিক নির্যাতন চালায়। সোমবার রাতে অপহৃত স্কুল ছাত্রী কৌশলে সোহেল রানার মোবাইল ফোন থেকে তার মা ঝর্না বেগমকে ঘটনাস্থলের বর্ননা দিলে তার ফুপাতো ভাই মাসুম ও বাবু ঐ বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে সোমবার ভোর রাতে মাগুরা কলেজ পাড়ার বাসায় নিয়ে আসে।

অপহৃত ছাত্রীর মা স্কুলের আয়ার মাধ্যমে খবর পেয়ে মেয়ের বান্ধবী লোটাসের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় অপহরনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়ার লোটাসের বাসায় ঘটনার সত্যতা জানতে গেলে বাসাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

সদর থানার এস আই মানিক চন্দ্র গাইন জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি এক ছাত্রীর পাশবিক নির্যাতনের বিষয়টি শুনেছি। তারা অপহরণ ও নির্যাতনের নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি গ্রহন করছেন। তবে পুলিশের প্রাথমিক ধারনা লোটাশ অপহরণ চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। লোটাশ নামের ঐ বান্ধবীকে আটক করা গেলেই প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

(ডিসি/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫)