নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে আটরশির ওরশ ফেরত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে, দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার কারবালা গলাকাটা এলাকায় নাটোর-পাবনা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহত হন তারা।

নিহতদের মধ্যে রংপুরের তারাগঞ্জের জব্বার আলীর ছেলে আনারুল ইসলামের নাম জানা গেছে। নিহত অপর দুই জনের নামপরিচয় জানা যায়নি।

আহতদের মধ্যে আরো আট জন রামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. আশরাফুল ইসলাম তিন ব্যক্তি নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাটোর ঝলমলিয়া মহাসড়ক পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সামিউল আলম জানান, ফরিদপুরের আটরশি পীরের ওরশ শেষে মুসল্লীদের নিয়ে একটি পিকআপভ্যান রংপুরের দিকে যাচ্ছিলো। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বড়াইগ্রামের গলাকাটা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা আলুবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ওই পিকআপ ভ্যানে থাকা যাত্রীরা আহত হন। আহতদের মধ্যে- রংপুরের রিয়াজুল ইসলাম (৩০), হাফিজুল ইসলাম (২৭), মাসুম হোসেন (৩০), মোবারক হোসেন (৫০), আহসান হাবীব (৩০), আরিফ হোসেন (২৪) এবং নীলফামারীর সাদ্দাম হোসেন (২৫) ও নাজমুল হোসেনের (৩০) নাম জানা গেছে।

আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালসহ নাটোর ও রাজশাহীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

(এমআর/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫)