নড়াইল প্রতিনিধি : ‘তুমি জানো নারে প্রিয়/ তুমি মোর জীবনের সাধনাসহ এ রকম কালজয়ী অনেক গানের স্রষ্টা, চারণ কবি বিজয় সরকার। ১৯ ফেব্রুয়ারি এ গীতিকারের জন্মদিন।

১৩০৯ বঙ্গাব্দের ৭ ফাল্গুন নড়াইল সদরের ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী হলেও উপাধি ‘সরকার’ই কালে কালে তার নামের অংশ হয়ে যায়।

বিজয় সরকারের বাবার নাম নবকৃষ্ণ অধিকারী, মা হিমালয়া দেবী। এই কবি নবম শ্রেণী (মতান্তরে ম্যাট্রিক) পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক লেখাপড়া করেন পর্যন্ত। কবির দুই স্ত্রী- বীণাপাণি ও প্রমোদা অধিকারী। তারা কেউই বেঁচে নেই। সন্তানদের মধ্যে কাজল অধিকারী ও বাদল অধিকারী এবং মেয়ে বুলবুলি অধিকারী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন।

বিজয় সরকার প্রায় ১৮০০ গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন। ১৯৮৫ সালের ২ ডিসেম্বর ভারতে পরলোকগমন করেন। পশ্চিমবঙ্গের কেউটিয়ায় তাকে সমাহিত করা হয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।

বিজয় সরকারের কয়েকটি গানের প্রথম কয়েক ছত্র :

পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনী/ ওরে একদিন ভাবি নাই মনে/ সে আমারে ভুলবে কেমনে...।

যেমন আছে এই পৃথিবী/ তেমনই ঠিক রবে/ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে...।

নবী নামের নৌকা গড়ো/ আল্লাহ নামের পাল খাটাও/ বিসমিল্লাহ বলিয়া মোমিন/ কূলের তরী খুলে দাও...।

নক্সী কাঁথার মাঠেরে/ সাজুর ব্যথায় আজো রে বাজে / রূপাই মিয়ার বাঁশের বাঁশি...।

কী সাপে কামড়াইলো আমারে/ ওরে ও সাপুড়িয়ারে/ আ...জ্বলিয়া পুড়িয়া মলেম বিষে...।

১১৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এ বছর কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। প্রতিবছর এই দিনে কবির জন্মস্থান সদর উপজেলার ডুমদিতে কর্মসূচি পালন করা হলেও এ বছর নীরবে চলে যাচ্ছে ১১৩তম জন্মদিনটি।

(ওএস/এটিআর/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫)