গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের তালিকা ভুক্ত চিহিৃত সন্ত্রাসী আন্ত:জেলা মাদক ব্যবসায়ি রফিকুল ইসলাম খোকন ওরফে খোকন পুলিশ (৩৫) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

বুধবার রাতে সোহাগী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অভিযানে অংশ নেওয়া ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এরমধ্যে দুই পুলিশ কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ এবং অপর দু’জন স্প্রিন্টার বিদ্ধ হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, খোকন নিহত হওয়ার খবরে বৃহস্পতিবার সকালে সোহাগী এলাকা থেকে তার সহযোগীরা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদরে এসে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে আহত হয় অন্তত: ৬ জন।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোকন পুলিশকে ধরতে বুধবার দিনগত গভীর রাতে পুলিশের একটি দল সোহাগী এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় খোকন পুলিশকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, খোকনকে আটক করা হলে তিনি পুলিশের কাছ থেকে ছুটে গিয়ে পুলিশ সদস্যদেরই লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকেন। একইসঙ্গে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার সহযোগীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকেন। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে খোকন গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশ খোকনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি এবং চারটি ককটেল উদ্ধার করে পরে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান জানান, খোকন পুলিশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় অস্ত্র এবং মাদকসহ ৬টি মামলা রয়েছে। উপজেলায় তিনি পুলিশের এক নম্বর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
উল্লেখ যে, খোকন পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকুরিরত অবস্থায় চট্টগ্রামে মাদক নিয়ে ধরা পড়ে চাকুরিচ্যুত হন। এরপর থেকেই তিনি পুরোদমে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে তিনি খোকন পুলিশ নামে পরিচিত ছিলেন।

(এসআইএস/এসসি/ফেব্রুয়ারি১৯,২০১৫)