গাইবান্ধা প্রতিনিধি : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য এর আগে ছিল না, বেগম জিয়াই এ নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন। পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের উপর বোমা মারা হচ্ছে। নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরে যে আন্দোলন করা হচ্ছে, সে আন্দোলন জনগণ সমর্থন করে না।

আমরা চেয়েছিলাম আপনাদের অংশগ্রহণে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। কিন্তু, আপনারা সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে যে ঐতিহাসিক ভুল করেছেন, সেই ভুলের মাসুল কি আজ জনগণ দেবে ?

বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মেলান্দহ সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ৪ জুন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সাঘাটার জুমারবাড়ি এলাকায় বাঙ্গালী নদীর উপর এ সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাব এবং নানা প্রতিকূলতার কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় শেষ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ৭ স্প্যান বিশিষ্ট ২৬০ দশমিক ৭৬ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটি নির্মাণে ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ সেতুর দু’ধারে ১ কিলোমিটার করে এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়। উত্তরদিকের এ্যাপ্রোচ সড়কে ৩১ দশমিক ২ মিটার দীর্ঘ অপর একটি আরসিসি সেতুও এ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটির নিরাপত্তার জন্য উভয় পাড়ে তীর সংরক্ষণের কাজ করা হয়েছে।

গাইবান্ধা-জুমারবাড়ি-সোনাতলা হয়ে বগুড়া তথা রাজধানীর যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা তথা গাইবান্ধার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এ সড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ অংশের জেলাগুলোতে যাতায়াত করে থাকে। সাঘাটার জুমারবাড়ি সংলগ্ন মেলান্দহ ঘাটে বাঙালী নদীর উপর সেতু না থাকায় ওই এলাকার মানুষকে দীর্ঘকাল ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিকল্প সড়ক যোগাযোগ হিসেবে প্রায় ৭০/৮০ কিলোমিটার ঘুরে এলাকার মানুষকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি-গোবিন্দগঞ্জ হয়ে রাজধানীসহ অন্যান্য এলাকায় যাতায়াত করতে হয়েছে। এতে ওই এলাকার মানুষদের একদিকে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তেমনি যাতায়াত ব্যয়ও তাদের অনেক বেশি গুণতে হয়েছে।

স্থানীয় নগরিক সংগঠন সাঘাটা (দক্ষিণ) উন্নয়ন ফোরাম এর সদস্য সচিব মশিউর রহমান সোনা জাগোনিউজকে জানান, মেলান্দহ সেতু সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার ভুক্তভোগি মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির ফসল। এখানে বাঙালী নদীর খেয়া পারাপার ছিল সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলাবাসীর অন্যতম প্রধান সমস্যা। সেতুটি চালু হলে এ অঞ্চলের জনসাধারণের শত বছরের দুর্ভোগ লাঘব হবে। সেই সাথে এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল আলম খান জাগোনিউজকে জানান, নানা প্রতিকূলতা শর্তেও সর্বশেষ টার্গেট অনুযায়ী সেতুটি নির্ধারিত সময়ই নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এতে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫)