ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ জেলার আমবাগান মালিকেরা  ও গ্রামের জন সাধারণ জানান, মাঘ মাসে প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা থাকায় এবার একটু দেরিতে আমের মুকুল এসেছে। কৃষিবিদরাও এমনটি জানিয়েছেন।

সময়ের পালাবদলে ও ঋতু বৈচিত্রে শীত শেষে এসেছে বসন্ত। প্রকৃতিতে নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুলও। মুকুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে চারিদিক। কোথাও কোথাও মুকুলের অপেক্ষায় আমবাগান। ঝিনাইদহের ৬ টি থানায় সহ গ্রাম এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে যানা যায় যে, প্রচুর পরিমান আমের মুকুল ধরেছে কিন্তুু কুয়াশায় বা পোকামাকড়ে নষ্ট করে ফেলবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী আরো জানাই ঝিনাইদহের কৃষিঅধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যদি একটু দেখাশোনা সাহায্য সহযোগিতা বা জনসাধারনের আমের মুকুলের ব্যাপারে যথাসময়ে পরমর্শ প্রদান করে সহায়তা করে তাহলে হয়ত ঝিনাইদহের আমে দেশের চাহিদা পূরণ করে নিজেরাও লাভবান হতে পারবেন।

ঝিনাইদহের রাউতলি গ্রামের বাগান মালিক গিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস ও শাহবুদ্দিন বিশ্বাস তাদের বাগানের আমগাছ গুলোতে কয়েকদিন আগে মুকুল এসেছে বলে জানান। এ এলাকার অন্যান্য আমগাছেও মুকুল আসতে শুরু করেছে। গিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এ বছর একটু দেরিতে আমের মুকুল এসেছে। সেই সাথে কুয়াশার প্রভাবও রয়েছে। এতে করে মুকুল ঝরে পড়ার আশঙ্কা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ড.খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আশা করছি এ বছর ফলন ভালো হবে। তাই বাগান মালিকরা এখন আমের মুকুল দর্শনে ভীষণ খুশী এবং মোহিত মুকুলের ঘ্রাণে।

(জেআর/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫)