নন্দীগ্রাম(বগুড়া) প্রতিনিধি : শুক্রবার মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা স্পর্শের সঙ্গে সঙ্গে বগুড়ার নন্দীগ্রামে অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সুচনা শুরু করে। রাত ১২টা ১মিনিটে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ, উপজেলা জাসদ, পৌর জাতীয় পার্টি, উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর ১মিনিট নিরবতা পালন শেষে ভাষা শহীদদের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার ইমাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আনিছুর রহমান, জেলা জাসদ নেতা জিয়াউল হক শাহীন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার হোসেন বকুল, পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান, যুবলীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র মহন্ত, ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ, জাসদ ছাত্রলীগ নেতা নূরুল ইসলাম তোতা, যুবদলের সভাপতি আলেকজান্ডার, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রউফ রুবেলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

৬৩ বছর আগের গৌরবোজ্জ্বল সেই দিনটিকে আবারো ফিরে দেখা হলো। ১৯৫২সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির এই দিনে পাকিস্থানী শাসকদের হুমকি-ধমকি আর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৪৪ধারা ভেঙে মাতৃভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে পথে নেমে এসেছিল নানা বয়সী অশংখ্য মানুষ। বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলেছিল,‘ রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’। সেই মিছিলে পাকিস্থানীদের গুলিতে সালাম, বরকত, শফিক, জব্বারসহ বাংলা মায়ের অকুতোভয় সন্তানদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল দেশের মাটি। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার ওই আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ভাষার জন্য বাঙালীর এই আত্মদানের দিনটিকে ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দিবসটি নন্দীগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
(এনআই/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২১,২০১৫)