গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ শহরের চরসোনাকুড় এলাকায় শালিশ বৈঠকে গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী অস্ত্র উদ্ধারের দাবীতে পুলিশের গাড়ি প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। পরে অবশ্য জনগনের বিক্ষোভের মুখে অভিযুক্ত দুই যুবককে পুলিশ আটক করে।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত ৪/৫ দিন আগে ঔ এলাকার ইসাহাক সিকদারের ছেলে তুহিনের সাথে নসু মোল্লার ছেলে সবুজের মধ্যে সৃষ্ট মারামারির ঘটনায় এলাকার মুরব্বীরা আজ শনিবার সকাল ৮ টার দিকে শালিশ বৈঠকে বসেন। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাহফুজ মোল্লা নামের এক যুবক অস্ত্র দিয়ে গুলি করলে কারো গুলি না লাগলেও শালিশ বৈঠক ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে দুই গ্রুপই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে অস্ত্রসহ মাহফুজ মোল্লাকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেয়। কিন্তু পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করতে দেরি করায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং রাস্তার উপর ইট ও গাছের গুড়ি ফেলে এবং নারী-পুরুষ রাস্তার উপর বসে পড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। তারা অন্তত এক ঘন্টা পুলিশের গাড়ি আটকে রাখে। পুলিশ শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত মাহফুজ ও তার ভাই সবুজকে আটক করেছে।শালিশে উপস্থিত গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কমিশনার জানে আলম সিকদার কমেট গুলিবর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, তিনি শালিশ বৈঠকে ছিলেন। এক পর্যায়ে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটলে দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তিনি পরবর্তীতে সেখান থেকে চলে আসেন।
সাবেক ইউপি মেম্বার সাত্তার সিকদার গুলি হয়েছে এমন কথা স্বীকার করে বলেন, শালিশ বৈঠক চলাকালেই মাহফুজ মোল্লা অস্ত্র দিয়ে গুলি করলে ও তা কারো গায়ে লাগেনি। তিনি বলেন, পুলিশের গাফিলতির কারণেই অস্ত্র সরিয়ে ফেলেছে মাহফুজ।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হোসেন মোল্লা বলেছেন, এলাকার বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
(এমএইচএম/এএস/মে ১০, ২০১৪)