যশোর প্রতিনিধি :  যক্ষানিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক সোমবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরের ভিআইপি কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মিডিয়া কর্মীসহ সরকারি-বেসরকারি ৫০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব সোহেল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রউফ,প্রেসক্রাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, নাটাবের সভাপতি অ্যাড. জাফর সাদিক, বিএমএর সভাপতি ডা. কামরুল ইসলাম বেনু,ও টিবি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মামুনুর রশিদ। গোল টেবিল বৈঠকে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. এমদাদুল হক।
এছাড়া মুক্ত আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন সাংবাদিক ফখরে আলম, সাইফুর রহমান সাইফ, জাহিদ আহমেদ লিটন, প্রদীপ ঘোষ প্রমুখ। জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রেসক্লাব যশোর এবং ব্রাক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে আলোচকবৃন্দ বলেছেন, যক্ষা রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ২২ দেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষকরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি যক্ষা রোগী এবং ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র হলো ভারত। সে দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আরো ভাল। সরকার এবং ব্রাক যৌথভাবে যক্ষা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এর সুফল পেয়েছে জনগণ। সরকার এবং ব্রাকের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে বিনামূল্যে যক্ষারোগের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখন প্রয়োজন জনগণকে সচেতন করা। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি হলেই প্রত্যেকের উচিৎ ‘কফ’ পরীক্ষা করা। সারা দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে সাংবাদ পত্র বা মিডিয়া কর্মীরা একযোগে কাজ করলে যক্ষায় ঝুঁকিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
অলোচকবৃন্দ আরো বলেছেন, ২০১৪ সালে যশোরে ৩ হাজার ২শ ৮৬জন যক্ষা রোগী ছিল। এর আগে ২০১৩ সালে যক্ষারোগে মারা গেছেন। বর্তমানে একজন যক্ষারোগিকে একটানা ৬ মাসের সেবা দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবয় ব্রাক। এর জন্য খরচ হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এর পুরোটা বহন করছে সরকার এবং ব্রাক। তাদের কার্যক্রমে যক্ষারোগীর হার আস্তেআস্তে কমে আসছে। সকলে মিলে একযোগে কাজ করলে পোলিও মুক্ত বাংলাদেশের মতো যক্ষামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
পুরো অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান।
(জেকে/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২৩,২০১৫)