বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের লাঠিচার্জে সাতজন আহত হয়েছেন। বান্দরবান বাজারের দুই নাম্বার গলিতে সোমবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক পদ নিয়ে জেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পৌর মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা ও জেলা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নামে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। জাবেদ-জাহাঙ্গীর দু’জনেই নিজেদের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বলে দাবি করেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী হরতাল-অবরোধের সমর্থনে বান্দরবানে বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা সোমবার শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে যুবদলের নেতা মোহাম্মদ মুন্না বক্তব্য রাখতে গিয়ে পৌর মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজাকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বলে সম্মোধন করেন। এ সময় দু’গ্রুপের কর্মী-সমর্থকরা বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দু’গ্রুপের কর্মী-সমর্থকরা।

খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে। এ সময় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও পুলিশের লাঠিচার্জে সাতজন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রিটল বিশ্বাস, মমতাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ জাহেদ ও হাসানের নাম পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন— জেলা বিএনপির সভাপতি সাচিং প্রু জেরী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মুজিবুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মাবুদসহ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ।

তিনি জানান, দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচিতে বিএনপির দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

(ওএস/এটিআর/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫)