দিনাজপুর প্রতিনিধি : নিজস্ব কার্যালয়ের জন্য একখন্ড জমি সরকারিভাবে বরাদ্দ চেয়ে নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামো দুর্বল হিসেবে প্রমান করলেন দিনাজপুর জেলা চালকল মালিক গ্রুপ। শনিবার দিনাজপুরে দুদিনব্যাপী চতুর্থ আন্তর্জাতিক রাইসমিল এন্ড টেকনোলজি প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হুমায়ুন রেজা চৌধুরী শামীম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির কাছে সরকারিভাবে নামমাত্র মূল্যে এই একখণ্ড জমি বরাদ্দ চান।
দিনাজপুর স্টেশন ক্লাব প্রাঙ্গনে দুদিন ব্যপাী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।

তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ শামীম আল রাজী বলেন, দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তিদের নিয়ে চালকল মালিকদের এই সংগঠন। কিন্তু তাদের অফিস করার মতো একটা জায়গা নেই এবং কোনদিন এ ব্যাপারে তারা কোন উদ্যোগও নেয়নি। ধনী ব্যাক্তিদের এই সংগঠন হয়েও তারা নাম মাত্র মূল্যে সরকারি জমি বরাদ্দ চান। এতেই প্রমানিত হয় তারা সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো কতটা দুর্বল। তিনি বলেণ, এতবড় সংগঠন হয়েও তাদের দিনাজপুরে কোন কর্পোরেট সোস্যাল রেন্সপন্সিবলিটি (সিএসআর) অথবা সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই। অনেকে সংগঠন অনেকভাবে আবার অনেকে ব্যাক্তিগতভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কাজ করে থাকলেও এই সংগঠন এ ধরনের কাজ করেছে কি-না এ ব্যপারে প্রশ্ন তোলেন জেলা প্রশাসক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এ ব্যাপারে চালকল মালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দের সরকারি খাস জমি খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নাম মাত্র মূল্যে নয়, সরকারি মুল্যে তাদের জমি দেয়া হবে।
ইকবালুর রহিম চালকল মালিক সমিতিকে এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই প্রদর্শনী এ অঞ্চলের চালকল মালিকদের নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা প্রদানে সহায়তা করবে। যাতে চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশের খাদ্য ঘাটতি ছিলো ১৭ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু বিগত ৫ বছরে বর্তমান সরকার কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং বর্তমানে খাদ্য উদ্বৃত্তির দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।
জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার রুহুল আমীন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদির, মেলা কমিটির আহ্বায়ক মুসাদ্দেক হুসেন প্রমুখ।
দুদিন ব্যপী এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ছাড়াও ৫টি দেশের মোট ৩০টি স্টল বসানো হয়েছে। দেশগুলো হলো-ভারত, কোরিয়া, চীন, জাপান ও সুইজারল্যান্ড।
(এটি/এএস/মে ১০, ২০১৪)