যশোর প্রতিনিধি : যশোর সদর উপজেলার ৩নং ইছালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও  স্থানীয় আওয়ামী লীগের সম্পাদক মোর্শারফ হোসেন আততায়ীর গুলিতে প্রকাশ্যে খুন হয়েছেন। হত্যার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।

প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের স্বজন ও কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ইনামুল হক জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পুরাতন কসবা কাঠালতলার বাড়ি থেকে ইউনিয়ন পরিষদে যাচ্ছিলেন চেয়ারম্যান মোশারেফ (৫৫)। প্রতিদিন তার সাথে এক-দুজন লোক থাকলেও ঘটনার দিন তিনি একাই মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। যশোর - মাগুরা সড়কের পাচবাড়িয়া সিনজেনটা অফিস এবং গ্যাস ফিল্ডের কাছে পৌঁছুলে আততায়ীরা পিছন থেকে তাকে গুলি করে। একটি গুলি চেয়ারম্যান মোশারেফের বামপাজরে বিদ্ধ হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আগে থেকেই অপর একটি মোটর সাইকেল যোগে তিন আততায়ী অনুসরণ করে তার পিছু নেয়। এদৃশ্য দেখে মাঠ থেকে কৃষকরা প্রতিরোধ করতে ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে সাহা পুরের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মোশারেফের মৃত্যু হয়। ইতিপূর্বেও সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার জন্য ২ বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।


এদিকে মোশারেফ হত্যার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামীলীগের একটি অংশ বেলা ১২ টার দিকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।

প্রকাশ্যে একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে মোশারেফ হত্যার প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও ইছালী এলাকার একাধিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ইছালী এলাকার কুখ্যাত চরমপন্থী সন্ত্রাসী সোহাগ ও হাদী র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে মারা যায়। হাদী ও সোহাগের পরিবারের ধারনা এদুজনকে হত্যার পিছনে চেয়ারম্যান মোশারেফের হাত ছিল। এরজের ধরে হাদী ও সোহাগের লোকজন প্রতিশোধ হিসেবে মোশারেফকে খুন করতে পারে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ি ইছালীর এনায়েতপুরের বাসিন্দা মহিদুল দুমাস আগে ইছালি বাজারে বোমা বিষ্ফোরন করে। এঘটনায় চেয়ারম্যান মোশারেফের সহযোগিতায় স্থানীয় তাকে ধরে পুলিশে দেয়। এরজের ধরেও মোশারেফ খুন হতে পারেন বলে সূত্র গুলি দাবি করেছে।

অপর দিকে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ইনামুল হক জানান, হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি যাতে দ্রুত হত্যার কারণ এবং হত্যাকারিকে আটক করা যায়।

(জেকেএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫)