বাগেরহাট প্রতিনিধি  : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের জিবি আমেনা খাতুন দাখিল মহিলা মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে । এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোকলেছ হাওলাদার নেতৃত্বে চলছে শালীস দরবার। একই সাথে এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যাক্তির পক্ষের লোকজন ওই কিশোরীর গর্ভপাত বা তাকে নিখোঁজ করারও জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রীটির স্বজনরা।

এবিষয়ে ওই ছাত্রীটি জানায়, ৬/৭মাস পূর্বে প্রতিবেশী যুবক রাজ্জাক (২২) তাকে একাধীকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে সে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। রাজ্জাককে বিয়ের কথা বললে সে সটকে পড়ে। কয়েক দিন আগে তাদের বাড়ীতে পুলিশ এসে তাকে জিঞ্জাসাবাদ করে। সে এঘটনার জন্য দায়ী তাদের ছোট বাদুরা গ্রামের প্রতিবেশী মুনসুর শেখের ছেলে রাজ্জাকের নাম জানালেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানান। ধর্ষক রাজ্জাকের লোকজন তার গর্ভপাত ও তাকে নিখোঁজ করারও জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। মাদ্রাসা ছাত্রীটির পিতা দিনমজুর আব্দুস সালাম শেখ বলেন, আওযামী লীগ নেতারা বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের কাছে যেতে নিষেধ করে দিয়েছে। ঘটনা জানতে তাদের বাড়ীতে পুলিশ আসলেও ভয়ে তারা মামলা করতে পারছেনা।
আওয়ামী লীগ নেতা মোকলেছ হাওলাদার বলেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জুয়েল, অধ্যাপক আব্দুল হালিম ও আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে। মীমাংসার চেষ্টা চলছে। ঘটনা সম্পর্কে জুয়েল মেম্বার বলেন, মিমাংশার জন্য থানা পুলিশের কাছ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সময় নিয়েছি। ব্যর্থ হলে পরে থানাকে বলবো।
এবিষয়ে মোড়েলগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ার ঘটনাটি তিনি লোক মুখে শুনেছেন। তবে এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোন দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হালিমকে জানানো হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই, আপনাদের (সাংবাদিকদের) কলম আছে আপনারা রিপোর্ট করেন।
(একে/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২৫,২০১৫)