ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামের কৃষক হরিপদ কাপালী। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এ কৃষক ১৯৯৯ সালে আবিস্কার করেন নতুন প্রজাতির এক ধান। তার নামের সাথে মিল রেখেই এ ধানের নামকরণ করা হয় ‘হরি ধান’। হরিধান একটি বিশেষ জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান।

 

এ আবিস্কারের সূত্র ধরে তিনি এখন দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও একটি পরিচিত নাম। পেয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের পুরস্কার ও সম্মাননা। ১৯৯৯ সালে নিজের ধানের জমিতে একটি ছড়া তার নজর কাড়ে। ধানের গোছা বেশ পুষ্ট এবং গাছের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। এ ছড়াটি তিনি নজরদারিতে রাখলেন। ধানের বাইল (ছরা) বের হলে তিনি দেখতে পান বাইলগুলো তুলনামূলকভাবে অন্য ধানের চেয়ে দীর্ঘ, এবং প্রতিটি বাইলে ধানের সংখ্যাও বেশি। ধান পাকলে এগুলো তিনি আলাদা করে বীজ ধান হিসেবে রেখে দিলেন। পরের মৌসুমে এগুলো আলাদা করে আবাদ করলেন এবং আশাতীত ফলন পেলেন। এভাবে তিনি ধানের আবাদ বাড়িয়ে চললেন। আর নিজের অজান্তেই উদ্ভাবন করলেন এক নতুন প্রজাতির ধান, হরিধান। মূলত ডারউইনের আবিস্কৃত কৃত্রিম নির্বাচনের একটি সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন প্রান্তিক কৃষক হরিপদ কাপালি। হরিপদ কাপালি এই সুবাদে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন।
(জেআর/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২৫,২০১৫)