বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপালে খানজাহান আলী বিমান বন্দর বাস্তবায়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, সরকারী নদীখাল খনন, ৩৪/২ পোল্ডার দ্রুত বাস্তবায়ন এবং নাব্যতা হারানো মংলা-ঘষিয়াখালী নৌচ্যানেল রক্ষায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি।

শনিবার দুপুরে বাগেরহাট-মংলা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার প্রস্তাবিত ফয়লা বিমান বন্দরের সামনে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি এবং রামপাল উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি এস.এম শাহনেওয়াজ আলী বলেন, মংলা বন্দরকে সচল করতে বিমান বন্দর চালুর বিকল্প নেই। সরকার রামপাল উপজেলার ফয়লা এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করে মাটি ভরাট করে ফেলে রেখেছে। কিন্তু বাস্তবায়ন করছে না। যার কারনে মংলা বন্দরেরও কোন উন্নতি হচ্ছেনা। তাই বিমান বন্দরটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে আগামী বাজেটে টাকা বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান তিনি।
রামপাল উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ বলেন, রামপালের প্রধান দুটি নদী দাউদখালী ও কুমারখালী মরে গেছে। এই নদী দুটি মরে যাওযায় বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। তাই অবিলম্বে এই কৃষি জমি বাঁচাতে নদী দুটি খনন করা প্রয়োজন। তিনি অবিলম্বে নদী দুটি খননের দাবী জানান।
অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি এস.এম শাহনেওয়াজ আলী, সহসভাপতি খালিদ হোসেন, মহাসচিব অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি শফিকুল হামিদ চন্দন, মারুফ হোসেন, রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ, রামপাল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনে আরা মিলি প্রমুখ।
(একে/এএস/মে ১০, ২০১৪)