ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে এ বছর করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভাল থাকায় সাধারণ কৃষকদের মাঝেও চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে কম পুজিঁতে বেশী লাভ হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন করলা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। করলা চাষ সহজলভ্য হওয়ায় গ্রামীণ কৃষককূল দিন দিন এ চাষের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এ মৌসুমে ৮২ হেক্টর জমিতে করলা চাষ করা হয়েছে। এছাড়া ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলার ২১ বিঘা জমির ২৫ জন কৃষককে বিঘাপ্রতি ৩ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রীজও সরবরাহ করা হয়। রাজাপুরউপজেলার কেওতা, শুক্তাগড়, ঘিগড়া, পিংড়ি, সাংগর, আউখিরা, কানুনিয়া, বামনখান, বামনকাঠি, মনোহরপুর, লেবুবুনিয়া, আদাখোলা, ইন্দ্রপাশা গ্রামের শতাধিক কৃষকরা করলা চাষ জড়িত আছে। উপজেলার কেওতা গ্রামের করলা চাষী মোঃ নিজাম হোসেন জানান, গত বছর ২০ শতক জমিতে করলা চাষ করে মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ১ লক্ষাধিক টাকা আয় করেছি। এবছরও জমি বাড়িয়ে ৪৫ শতক জমিতে চাষ করে ভাল টাকা পাচ্ছি। এ বছরও ৪০ হাজার টাকা খরচ করেছি এবং প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হবে। করলার পাশাপাশি বেগুন ও সিম চাষ করেছেন। এ উপজেলায় আগে করলা বিভিন্ন স্থান থেকে আমদানী করা হত। এখন আর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমদানী করার তেমন প্রয়োজন হচ্ছে না। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে সহজ উপায়ে ক্ষেতের ফসল বিক্রি করতে পারে বলেই করলা চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। এখন মৌসুমের শুরুতে উৎপাদিত এ করলা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়। কৃষকরা জানান, এখন আমাদের দেখা দেখিতে এলাকার অনেকে করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছে। নিজে এবং অন্য কৃষকরা লাভবান হওয়ায় খুব ভাল লাগছে।

(এএম/পি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫)