নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে মোবারক হোসেন নামে এক প্রকৌশলীকে মারপিট করে হত্যার চেষ্টা মামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পুত্র সোহাগকে  (২৫) পুলিশ শনিবার গ্রেফতার করেছে। এদিকে সোহাগ গ্রেফতার হওয়ার পর চেয়ারম্যানের বড় ছেলে মামলার বাদি প্রকৌশলী মোবারক হোসেনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের সিধূলী গ্রামের বাসিন্দা কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত মোবারক হোসেন গত ৪ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। প্রকৌশলী মোবারক হোসেন ঘটনার দিন তার বৃদ্ধ বাবা-মা’র সাথে দেখা করতে গুরুদাসপুরে আসেন। ওইদিন দুপুরে উপজেলার নয়বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজের ছেলে পিন্টু (৩০) সোহাগ (২৫) ও তাদের সহযোগী আব্দুস সামাদ, মলাম, হাসু ও সিরাজুল ওই প্রকৌশলীর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে । দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানালে তারা প্রকৌশলী মোবা কের ওপর চড়াও হয়ে ইট ও জিআই পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এতে ওই প্রকৌশলী রক্তাক্ত জখম হয় এবং সংঙ্গাহীন হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি করে।
এই ঘটনায় ওই দিন রাতেই ওই প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের ৩৬ দিন পর শনিবার পুলিশ চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে সোহাগকে নয়বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম খান সোহাগকে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে জানান, গ্রেফতার পরবর্তী হুমকির বিষয়ে পুলিশ অবগত নয়। এবিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি।
(এমআর/এএস/মে ১০, ২০১৪)