নিউজ ডেস্ক : The Child Marriage Restraint অপরাধ, ১৯২৯ এর ২ এর ক এবং খ ধারানুসারে শিশু বা নাবালক বলতে বুঝায় যে ব্যক্তির বয়স পুরুষ হলে ২১ বছরের কম এবং নারী হলে ১৮ বছরের নিচে। উক্ত আইনের ২ এর খ ধারানুসারে বাল্যবিবাহ বলতে বুঝায় সম্পর্ক স্থাপনকারী পর্যায়ের যে কোন একজন শিশু।

জাতিসংঘের শিশু উন্নয়ন বিষয়ক সংত্থা ইউনিসেফ এর গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ইং তারিখে ২৫তম শিশু অধিকার কনভেনশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হয় বাংলাদেশে। জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসী ফোরামের তথ্য অনুযায়ী মেয়ে বাল্য বিবাহের হার ৬৫ শতাংশ সেভ দ্যা চিলড্রেন এর সংগৃহীত তথ্য অনুসারে গ্রামাঞ্চলের ১৮ বছরের আগে ৬৯ শতাংশ নারীর বিবাহ হয়। ফলে মাতৃ মৃত্যুর, শিশু মৃত্যুর মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা সংঘঠিত হয়। জনসংখ্যা বৃদ্বি শিক্ষা প্রতি অনগ্রসরতা,দারিদ্রতা,পারিবারিক সহিংসতা,নারী সহিংসতা বৃদ্ধি পায়। সব চেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য হল নারীরা এসব অবহেলার কারনে বিভিন্ন ক্যান্সার রোগে আক্রন্ত হয়। The Child Marriage Restraint অপরাধ ১৯২৯ এর ৫ও ৬ ধারা অনুসারে বিবাহ অনুষ্ঠানকারী পিতা মাতা বা অভিবাবকের শাস্তি ১ (এক) মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১,০০০/-(এক হাজার)টাকা জরিমানা বিধান করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের খসড়া ২০১৪ অনুসারে বাল্যবিবাহ প্রমাণিত হলে ২ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০,০০০/- (পঞ্চশ হাজার) টাকা জরিমানা বিধান রাখা হয়েছে।

আজ বাংলাদেশে হতে ৩০(ত্রিশ) বছর আগে ১৯৮৪ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ ও সিডও এ স্বাক্ষর করে। সিডও সনদের পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য এবং বাল্য বিবাহ সম্পূর্নরূপে বন্ধের জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশের আইন সমূহের বাস্তবায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে।

(এসএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫)