ময়ূখ ইসলাম : বইমেলা শেষ হতে চলেছে । বইপ্রেমীদের মুখে এখন একই কথা-মেলার আর মাত্র এক দিন বাকি। তাই পাঠক, প্রকাশকদের মাঝে চলছে বিদায় বেলার প্রস্তুতি।

শেষ সময়ে মেলা প্রাঙ্গণে দেখা গেছে বইপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি মেলা প্রাঙ্গণকে মুখরিত করেছে। বিকাল তিনটা থেকে মেলায় জনসমাগম শুরু হলেও সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত থেকে ভিড় বাড়তে থাকে। চাকরীজীবীদের অনেকেই মেলায় আসছেন সন্ধ্যার পরে। নতুন বইয়ের খোঁজে আসছেন, কিনছেন পছন্দের বই। মেলার পরিসর বাড়ায় ভিড়-ভাট্টা কম হওয়ায় ঘুরে-ফিরে বই দেখতে পারছেন সবাই।

প্রতি বছর বাংলা একাডেমী ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে আয়োজন করে একুশের বইমেলা। এ বছর একুশে বইমেলার একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি। আর তাই এবারের বইমেলা ছিল সবার কাছে একটি অন্যরকম ভালোলাগার।

তবে মেলা দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ায় বিক্রেতাদের মাঝে আক্ষেপ দেখা যায়। একজন বই বিক্রেতা বলেন, কিছু পাঠক প্রথমে বাংলা একাডেমীতে বই দেখে ক্লান্ত হয়ে পরে, ফলে তারা আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে মেলার অন্য অংশে প্রবেশ করেন না। যা আমাদের ক্রেতা সংকট সৃষ্টি করছে। তিনি আরো বলেন, দোকান ভাড়া আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু ক্রেতার অভাবে তেমন বিক্রয় না হওয়ায় তারা ক্ষতির সম্মুখীন।

মেলায় শেষের দিকে বের হওয়া কিছু বই এর মধ্যে রয়েছে, হুমা্য়ূন আহমেদের ‘দেয়াল’, এ এফ এম হায়াতুল্লাহ’র ‘আমার নজরুল প্রজন্মে প্রজন্মে’, নিমাই সরকারের ‘আত্মজা’, ডঃ মো শহীদুর রহমান ও ডঃ মো জাহাঙ্গীর হোসেনের ‘বাংলাদেশের পেশাজীবী ও ফোক্লোর’, মঞ্জুরুল হক মঞ্জুরের ‘চলচ্চিত্রের নাম বাঙলাদেশ’ ইত্যাদি।

বইপ্রেমী শোভন বলেন, আমি বেশ কয়েকবার মেলায় এসেছি, আমি বই পড়ে মজা পাই, বই কেনার পর আমি এক অন্যরকম আনন্দ পাই। তিনি তরুণদের বেশি বেশি বই পড়ার আহ্বান জানান।

এছাড়া পুরো মাস জুড়েই মেলা প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ছিল জোরদার। পুলিশ, র‍্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পুরো সময় জুড়েই মেলা প্রাঙ্গনের উপড় কড়া নজর রাখছেন।

শেষ দিন মেলায় আরো বেশি জনসমাগম হবে এবং সেই সাথে বই বিক্রিও বাড়বে বলে আশা করছেন বই বিক্রেতারা।

(ওএস/অ/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫)