বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপালে সতেরো বছর বয়সী এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এঘটনার পর  গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ থেকে সেলিম মোল্লা (২৪) নামে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার রাতে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের গৌরম্ভা গ্রামের জুলফিকার আলী হাজীর বাড়ির বাগানে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে রামপাল থানায় সেলিমসহ ধর্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। শনিবার সকালে পুলিশ গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। ধর্ষক সেলিম মোল্লা গৌরম্ভা গ্রামের আমানত মোল্লার ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রামপাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহম্মদ শাহ আলম বলেন, রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামের নয়ন নামে এক ছেলের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে এই কিশোরীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্রধরে শুক্রবার বিকেলে নয়ন নামে ওই বন্ধু মোবাইলে ফোন করে মেয়েটিকে রামপালে আসতে বলে। বন্ধুর ফোন পেয়ে মেয়েটি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার শিয়ালীডাঙ্গা গ্রাম থেকে রামপালে চলে আসে। নয়ন ও তার আরেক বন্ধু প্রদীপ দুজনে রামপাল উপজেলার ভান্ডারকোট নামকস্থান থেকে মেয়েটিকে নিয়ে তারা একই উপজেলার আদাঘাট এলাকায় ঘুরতে যায়। সন্ধ্যায় সেখান থেকে ঘুরে তিনজনে মিলে গৌরম্ভা গ্রামে রওনা দিলে নয়নের পূর্ব পরিচিত সেলিম, লোকমান, বাবুল ও সেন্টু তাদের পথরোধ করে ওই মেয়েটিকে তাদের কাছে রেখে নয়ন ও প্রদীপকে চলে যেতে ভয়ভীতি দিলে তারা মেয়েটিকে রেখে চলে যায়। পরে ওই চার যুবক মেয়েটিকে ওই গ্রামের একটি বাগানে নিয়ে পালাক্রমে গনধর্ষণ করে। পরে গ্রামবাসী খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে জানালে পুলিশ সেখানে গিয়ে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে ও ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেলিম তার তিন বন্ধু মিলে মেয়েটিকে গনধর্ষণ করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। অন্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে
(একে/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২৮,২০১৫)