ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দেড়যুগ পরও মেরামত হয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন পাঁচপাখিয়া গ্রামে সেচখালের ভাঙ্গা কালভার্ট । এ কালভার্ট দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৩জন, আহত হয়েছে শতাধিক। এখনো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছে হাজারো মানুষ। বর্তমানে আবাইপুর ইউনিয়নের আতঙ্কের নাম পাঁচপাখিয়া সেচখালের সেতুটি।

পাউবো’র শৈলকুপা শাখা কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিকী জানান, দীর্ঘদিন অবহেলিত কালভার্টটি পুন:নির্মাণের জন্য ই-টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ১১ নং আবাইপুর ইউনিয়নের পাঁচপাখিয়া গ্রাম। পার্শ্ববর্তী কৃপালপুর, পদ্মনগর, ব্যাসপুর, নিত্যানন্দনপুর, গোলকনগর, হাটফাজিলপুরসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তায় হাটফাজিলপুর বাজার হয়ে থানা সদর শৈলকুপায় যাতায়াত করে। অথচ প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাঙ্গাচোরা অচল অবস্থায় পড়ে আছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কালভার্ট।

এলাকাবাসী তাদের নিজ চেষ্টায় বাঁশ-কাঠের সাহায্যে কোনরকমে জোড়াতালি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করে যাচ্ছে মারণফাদ হয়ে দেখা দেয়া কালভার্টটি।প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনা, গত কয়েক বছর ধরে মারা গেছে স্কুল শিার্থীসহ ৪ জন, আহত হয়েছে শতাধিক। এদের বেশিরভাগই বাইসাইকেল আরোহী। ব্রীজ সংলগ্ন দোকানদার আয়ুব হোসেন জানান, এমন কোন দিন নেই যে এখানে ছোট-বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটে না। স্থানীয়রা বহু চেষ্টা করেও এর কোন প্রতিকার না পেয়ে বার বার নিজেদের মতো বাঁশ-কাঠ দিয়ে জোড়াতালির কালভার্ট ব্যবহার করে আসছে। এর দুপাশের বেষ্টনীর চিহ্ন নেই বহু আগে, মাঝে মাঝে বড় বড় গর্ত হয়ে ভেঙ্গে গেছে পাকা ঢালাই। হাটফাজিলপুর গ্রামের আবু সাইদ জানান, বহুবার কালভার্ট মেরামতের দাবি করে দেড় যুগ পর এখন আর কেউ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চায়না। আতঙ্কের আরেক নাম পাঁচপাখিয়া ব্রীজ যেন এলাকাবাসীর কপালের লিখন।

শৈলকুপা পাউবো শাখা কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিকী বলেন, তিনি নতুন এসেছেন পাঁচপাখিয়া গ্রামে সেচ খালে কালভার্ট ভাঙ্গার বিষয়টি শুনেছেন, তবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ই- টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এর আওতায় পাঁচপাখিয়া কালভার্ট তালিকাভুক্তকরণ রয়েছে।

(জেআরটি/এএস/মার্চ ০১, ২০১৫)