নাটোর প্রতিনিধি : মাছ ও শস্যভান্ডার হিসাবে পরিচিত দেশের বৃহত্তম চলনবিলকে রক্ষা করতে হলে বিলের মধ্য দিয়ে বহমান ১৬টি নদী ও ৩১টি খাল নদী-খাল খনন করতে হবে। নদী দখল ও দূষণ ঠেকাতে প্রত্যেক জেলায় ওয়াটার রেগুলেটরী কমিশন গঠন করতে হবে। নদী-খালের সীমানা চিহ্নিত করে তা দখলমুক্ত করতে হবে।

শনিবার নাটোর শহরের ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এক সেমিনারে বক্তারা এমন অভিমত ব্যাক্ত করেন। চলনবিল ফেডারেশন ও উন্নয়ন পরিষদ যৌথ উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। চলনবিলের পরিবেশ, নদী-জলাশয়, খাল ও জীববৈচিত্র রক্ষায় আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজশাহী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাজিদুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম, উদ্যান ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার রায়, নদী গবেষক ও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী, চলনবিল রক্ষা আন্দোলন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান, চলনবিল উন্নয়ন পরিষদের সদস্য সচিব এ্যাড. আব্দুল ওহাব, চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের জাতীয় কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সুজন নাটোরের সাধারণ সম্পাদক রুখসানা শ্যামলী, বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি অহিদুল হক, সিংড়া প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী রাজু আহম্মেদ প্রমুখ। সেমিনারে বক্তারা বলেন, জলবায়ু জনিত কারনে চলনবিলের মধ্যে দিয়ে বহমান নদী-খাল শুকিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ প্রজাতির দেশীয় মাছ, হিজল, তমাল, জারুলসহ দেশীয় গাছ, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এসময় বক্তারা উজানে বাঁধ দিয়ে ভারতের এক তরফা পানি টেনে নেয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে উত্তরাঞ্চলবাসীকে আন্দোলনে নামার আহবান জানান।
(এমইআর/পিবি/মার্চ ০১,২০১৫)