নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সহায়তায় প্রধান অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি ও শিক্ষক হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দূর্ব্যবহারে উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান অফিস সহকারী কাজল কুমার দাস বিগত ২০১০ সালে পোরশা উপজেলা শিক্ষা অফিসে ওই পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে সহকারী শিক্ষা অফিসার, শিক্ষক ও অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিকের সঙ্গে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন। অপরদিকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের এলপিআর এ যাওয়া, শিক্ষিকাগণের মাতৃত্ব কালীন ছুটিতে যাওয়া, শ্রান্তি বিনোদনের কাগজ পত্রের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, রাজনৈতিক দলের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন শিক্ষককে হয়রানী মুলক ডেপুটেশন, একই বিদ্যালয়ের শিক্ষককে ডেপুটেশনে দিয়ে আবার টাকা ঘুষ নিয়ে ডেপুটেশন বাতিল করে অন্য শিক্ষককে ডেপুটেশনে পাঠানো, সরকারী নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে বৃদ্ধ শিক্ষকগণকে বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষনে পাঠানো, বিদ্যালয়ের স্লিপের বরাদ্ধকৃত অর্থ থেকে ১হাজার ৫শ’ টাকা থেকে ২হাজার ৫শ’ টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহনসহ একাধীক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এব্যাপরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক শিক্ষক ওই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে জানান। অপরদিকে তার এহেন কাজ কর্মে সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষা অফিসারগণও বিব্রত বলে জানা গেছে। কিছুদিন পূর্বে নওগাঁ জেলা সদরের এক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষা অফিসে অফিসিয়াল কাজে আসলে তার সঙ্গেও খারাপ আচরন করেন বলে ওই শিক্ষা কর্মকর্তা জানান। এব্যাপারে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান সহকারী কাজল কুমার দাসের সঙ্গে সেল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল জলিলের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি ডেপুটেশন বাতিলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।

(বিএম/পি/মে ১০,২০১৪)