ঝালকাঠি প্রতিনিধি : চাঁদাবাজি মামলায় ঝালকাঠি পৌরসভার  মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ ৩ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার পৌনে ১ টার দিকে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শাহিদুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন।

আসামীরা নির্ধারিত তারিখে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালত না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ মামলায় মেয়র ছাড়াও মেয়রের ভাইয়ের ছেলে সাজ্জাতুল আলম মুন্না ও সোয়ালমান হোসেন নামের সহযোগীদের কারাগারে পাঠায় আদালত।

বাদি পক্ষের আইনজীবি অ্যাড. আনোয়ার হোসেন খোকন মোল্লা জানান,শহরের পালবাড়ি এলাকার কবির আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তির কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা গ্রহণ করে মেয়র -এমন অভিযোগে ৬ মাস পূর্বে আদালতে ওই ব্যক্তি মামলা করেন। গত ২৪ নভেম্বর ২০১৪ তারিখ বিকাল ৫ টায় আসামিরা পালবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে কবির আহম্মেদকে মেয়রের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে। কবির আহম্মেদ যেতে না চাওয়ায় জোরপূর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা ও মারধর করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। আদালত অভিযোগ গ্রহন করে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওসির নির্দেশে ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক আবুল বাশার তদন্ত করে চাঁদাদাবির সত্যতা পাওয়ায় মেয়র আফজাল হোসেন, তার ছোট ভাই আউয়াল হোসেন, বড় ভাইর ছেলে মুন্না ও মামাত ভাই সলেমানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আদালত গত ২৯ জানুয়ারি মেয়রসহ সাতআসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সমন পাওয়ার পর গতকাল সোমবার মামলার ধার্য্য তারিখে মেয়রসহ আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।

মেয়র আফজালকে কারাগারে প্রেরণের পর জেলা আওয়ামীলীগের একটি গ্রুপ শহরে বিজয় মিছিল প্রদক্ষিন করে ।

(এএম/এএস/মার্চ ০২, ২০১৫)