সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ছাত্রলীগের একাংশের বিরুদ্ধে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করার প্রতিবাদ করায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠণিক সম্পাদক আনোয়ারুল সুমনকে(২৩) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পার্শ্ববর্তী শহীদুলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সুমনের উপর হামলার খবর পেয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা সদর হাসপাতালে ছুঁটে আসে। আহাজারি দেখা যায় সুমনের স্বজনদের।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য রানা ও নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের রথতলায় স্থানীয় জামে মসজিদের পাশে মুনজিতপুরের দু’নির্মাণ শ্রমিক দাউদ আলী ও হোসেন আলীর দু’টি মোবাইল ও নগদ দেড় হাজার টাকা ছিনতাই হয়। ছিনতাইকারিরা মুখোশ পরে থাকায় তাদেরকে তাৎক্ষণিক চেনা সম্ভব হয়নি। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রলীগ সদস্য মুনজিতপুরের ফারুক হোসেন, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত রবিন আহম্মেদ, আহছান, জুবায়েরসহ কয়েকজন এ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বলে তারা জানতে পারেন। এ নিয়ে আনোয়ারুল সুমনসহ তারা কয়েকজন শনিবার সন্ধ্যায় শহীদুলের মোড়ে ফারুক হোসেনের কাছে জানতে চায়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ফারুককে কয়েকটি চড় মারা হয়। এরপর ফারুক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

তারা আরো জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে মুনজিতপুরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাঈদুর রহমান অপুর নেতৃত্বে ফাহিম, মহসিন, কালাম, ফারুক,শহীদুল জুবায়ের, রবিন ও মজিদ শেখসহ ১৫/১৬জন ছাত্রলীগের নেতা কর্মী শহীদুলের মোড়ে আসে। তাদের হাতে রাম দা, লাঠি ও ক্রীজ ছিল। তারা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠণিক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বোটানি বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আনোয়ারুল সুমনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ হাসানুজ্জামান জানান, সুমনের ডান হাত, বাম হাত, দু’ পা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারলো অস্ত্রের গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে বাঁচানোর জন্য বি -পজেটিভ রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাবে তার জীবন আশঙ্কা ৮০ শতাংশ। রক্ত দেওয়ার পর তার অপারেশন করা হবে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হক জানান, সুমনকে হত্যার চেষ্টায় জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য চিরুনি তল্লাশি করা হচ্ছে।

(আরকে/অ/মে ১০, ২০১৪)