কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :  কিশোরগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদন্ড এবং একেই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিতও করেছে আদালত।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুলানের বিজ্ঞ বিচারক মো. সাদী গোলাম সারওয়ার জণাকীর্ন আদালতে এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের কুড়িমারা গ্রামের সুনীল চন্দ্র মন্ডলের মেয়ে মণি রানী মোদকের সাথে ১৯৯৮ সালে করিমগঞ্জ নয়াপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল কুমার সূত্রধরের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য মণি রানীকে চাপ দিতে থাকে। স্বামীর পরিবারের যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পেরে মণি রানী বাবার বাড়ি চলে যায়। এক পর্যায়ে দেবর মিন্টু চন্দ্র সূত্রধর অসুস্থতার কথা বলে ২০০২ সালের ২৭ জুন মণি রানীকে স্বামী বাড়িতে নিয়ে আসে। এর ১৩ দিন পর মণি রানীর মৃতদেহ করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বামীর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মণি রানীর বড় ভাই উত্তম কুমার মোদক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে স্বামী উজ্জ্বল ও শাশুড়ি গীতা রানীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালতে স্বাক্ষী জেরা শেষে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে খুন করেছে প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী উজ্জ্বলকে মৃত্যুদন্ড ও একেই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শাশুড়ি গীতা রানী সূত্রধরকে বেকুসর খালাস দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনায় ছিলেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এমএ আফজাল এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম জীবন ও অ্যাডভোকেট কেরামত আলী।

(পিকেএস/পিবি/মার্চ ০৪,২০১৫)