শেরপুর প্রতিনিধি : ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটানো আর খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার লক্ষ্যে শস্য আবাদ বাড়াতে প্রতিটি কৃষি বাড়িকে খামার বাড়ি বানাতে হবে। জমি চাষ থেকে শুরু করে ফসল কর্তন সবকিছুই সময়মতো করতে হবে। ফসলের মৌসুমে শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় কৃষিকে আরো আধুনিক এবং যান্ত্রিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করতে হবে। করতে হবে। এজন্য দরকার কৃষক পর্যায়ে জমি কর্ষণ যন্ত্র, রোপন যন্ত্র, শস্য কর্তন যন্ত্র সহজলভ্য করা। বর্তমান সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে খামার যান্ত্রিকীকরণ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৪ মার্চ বুধবার কৃষকদের মাঝে ভর্তুকির আওতায় ৩০টি পাওয়ার টিলার ও ১০টি পাওয়ার থ্রেসার যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এক লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের প্রতিটি পাওয়ার টিলার এবং ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার মূল্যের প্রতিটি মাড়াইযন্ত্রে নির্বাচিত কৃষকরা নির্ধারিত মূল্যের ওপর ২৫ শতাংশ টাকা সরকারি ভর্তুকি পেয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প-২য় পর্যায়ের অধীনে শেরপুর জেলায় ১৩০টি পাওয়ার টিলার ও ৩৫টি পাওয়ার থ্রেসার যন্ত্রের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তন্মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৩০টি পাওয়ার টিলার ও ১০টি পাওয়ার থ্রেসার যন্ত্রের বরাদ্দ পাওয়া যায়। কৃষিযন্ত্রের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মডেলে শতকরা ২৫ ভাগ ভর্তুকি পাবেন কৃষক। ভর্তুকি বাবদ অর্থ ব্যতীত যন্ত্রের মূল্য নির্ধারিত ডিলারের কাছে জমা দিয়ে যন্ত্র ক্রয় করতে হয়। সরকারি ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহকৃত এসব যন্ত্র হস্তান্তরযোগ্য বা বিক্রয়যোগ্য নয়। কৃষক নিজে এবং ভাড়ায় এ যন্ত্র পরিচালনা করতে পারবেন।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষকের মাঝে এসব কৃষিযন্ত্র হস্তান্তর করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোল্লার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় অন্যন্যের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন, উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুছ ছালাম, নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম. মোখলেছুর রহমান রিপন, পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক, কো-চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ছিলেন।

(এইচবি/এএস/মার্চ ০৪, ২০১৫)