আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আমি পেটের সন্তানের জন্য বেঁচে থাকতে চাই। ও ভুমিষ্ট হলে আমাকে মেরে ফেলুক। তাতে কোন কষ্ট নেই। আপনারা ওনারে একটু বুঝান যাতে ভালো হয়ে যায়। অন্তত সন্তান জন্ম না দেয়া পর্যন্ত আমাকে যেন অত্যাচার না করে তা বলে দিন। আমার জন্য না হউক ওনার সন্তানের জন্য যেন আমারে দুই মুঠ ভাত খাইতে দেয়। আমি ওনার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দিমু না। ওনার সাথে লড়াই করার মতো আমার কোন ক্ষমতা নাই।

শেরেবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও কাউনিয়া থানার এস.আই ওয়ারেছ আলীর তৃতীয় স্ত্রী হাবিবা আক্তার স্বামীর নির্যাতন সহ্য করেও তার অনাগত সন্তানের কথা ভেবে এভাবেই আকুতি জানিয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জবানবন্দী দিয়েছে। হাবিবা বলেন, তিনি বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। ওয়ারেছ এর সন্তান তার গর্ভে। এ অবস্থায় তিনি সন্তানকে বাঁচানোর জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা চেয়েছেন। এখন তিনি স্বামী ওয়ারেছ এর সাথে বসবাস করতে চান। আর এটা মনের আনন্দে নয়; বেঁচে থাকার তাগিদে।

কাউনিয়া থানা পুলিশের এস.আই ওয়ারেছ আলী তার তৃতীয় স্ত্রী হাবিবা আক্তারকে দিনের পর দিন আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। খবর পেয়ে মহিলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা থানা পুলিশের সহায়তায় গত বৃহষ্পতিবার বন্দীদশা থেকে হাবিবা আক্তারকে উদ্ধার করে। বর্তমানে হাবিবা সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের সাহেবেরহাট গ্রামের তার নানার বাড়িতে রয়েছে।

শনিবার দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) জিল্লুর রহমান বলেন, পুলিশের এস.আই ওয়ারেছ এর স্ত্রী হাবিবার জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। ওয়ারেছ আলীর বিরুদ্ধে তিনি লিখিত কোন অভিযোগ দিতে চাইছেন না। হাবিবা অভিযোগ দিলে বিভাগীয় তদন্ত করে ওয়ারেছের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হতো।

(টিবি/এএস/মার্চ ০৮, ২০১৫)