স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পর অবসরে পাঠানো র‌্যাবের সেই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রবিবর এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকারের যুগ্ম-বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

দণ্ডবিধি বা বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া না গেলে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে।

সেই তিন র‌্যাব কর্মকর্তারা হলেন- র‌্যাব-১১এর তৎকালীন অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল তারেক সাইদ, মেজর আরিফ এবং নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানা।

এর আগে এই তিন কর্মকর্তার সেনাবাহিনীর দুজনকে আকালীন অবসর এবং নৌবাহিনীর একজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তারা নিজ বাহিনীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জে নিহত প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের পরিবারের অভিযোগ তারেকসহ র‌্যাবের তিন কর্মকর্তার যোগসাজসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন অপহরণ ও হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ঘটনার জন্য র‌্যাবকে ছয় কোটি টাকা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম। তার এ অভিযোগ প্রকাশের পরই অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে র‌্যাব । একই সঙ্গে নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

(ওএস/এটি/মে ১১, ২০১৪)