বিনোদন ডেস্ক : প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যার সঙ্গে আপোসের সব শর্ত পূরণ করায় তার দায়ের করা তিনটি মামলা থেকেই খালাস পেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমি।

বুধবার প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের হওয়া সর্বশেষ মামলাটিও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত বছরের ১ ডিসেম্বর নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অন্য দু’টি মামলাও প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন লামিয়া ইসলাম অনন্যা।

বুধবার প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাটির শুনানির দিন ধার্য ছিল। লামিয়া ইসলাম অনন্যার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফ উদ্দিন আহমেদ আপোস-মীমাংসা হয়ে গেছে উল্লেখ করে আদালতকে জানান, এ মামলাটিও তারা চালাবেন না। তবে লামিয়া গানের অনুষ্ঠানে দেশের বাইরে থাকায় বাদিনীর অনুপস্থিতিতে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য সময়ের আবেদন জানান তিনি।

সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে আরফিন রুমিকে এ মামলা থেকেও বেকসুর খালাস দিয়ে মামলা খারিজ করে দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাতের আদালত।

আরফিন রুমি ও তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যাকে ডিভোর্স ও তার একমাত্র সন্তান আরিয়ানের নামে ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা এফডিআর করে দিয়ে আপোস-মীমাংসা করে নেন কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমি। এরপর তিনটি মামলাই আর চালাবেন না বলে জানান অনন্যা।

পরে ১ ডিসেম্বর আরফিন রুমিকে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা দু’টি থেকে বেকসুর খালাস দেন ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুর রহমান। ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে ও নির্যাতনের অভিযোগে আরফিন রুমির বিরুদ্ধে এ দু’টি মামলা করেছিলেন লামিয়া।

২০০৮ সালের ৪ এপ্রিল বিয়ে হয় রুমি ও লামিয়ার। আরিয়ান নামে তাদের একটি তিন বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।

রুমির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোতে লামিয়া অভিযোগ করেন, ২০১২ সালে আমেরিকা প্রবাসী কামরুননেসাকে বিয়ে করেন রুমি। এর কিছুদিন পরই দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান তিনি। পাশাপাশি বন্ধ করে দেন ছেলে ও প্রথম স্ত্রীর ভরণ-পোষণ। আমেরিকা থেকে ফিরে ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নিয়মিত তার ওপর নির্যাতন চালাতেন বলেও মামলায় অভিযোগ করেন তিনি।

গত বছরের ১০ আগস্ট আরফিন রুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন রুমি। পরদিন ৭ শর্ত পূরণ সাপেক্ষে হলফনামা দিয়ে জামিন পান রুমি। তবে জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করায় পুনরায় জামিন বাতিল করে কারাগারে নেওয়া হয় রুমিকে। পরবর্তীতে আপোসের শর্তে ফের জামিন পান তিনি।

পরবর্তীতে ডিভোর্স ও তাদের একমাত্র সন্তান আরিয়ানের নামে ২০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করার আপোস-মীমাংসার শর্ত পূরণ করতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন রুমি। এ কারণ দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলায় অনন্যার সাক্ষ্যগ্রহণও বেশ কয়েকবার পিছিয়ে যায়। অবশেষে রুমি সব শর্ত পূরণ করায় সব মামলা তুলে নিলেন অনন্যা।

(ওএস/এএস/মার্চ ১১, ২০১৫)