লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সরুশুনা গ্রামে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় একজন স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। ধর্ষণের ফলে ওই ছাত্রী বর্তমানে ৬ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউপি’র সরুশুনা গ্রামের পূর্ব পাড়ার উতার শেখের লম্পট ছেলে পাপ্পু শেখ (২২) একই গ্রামের মুন্সি আনিচুর রহমানের মেয়ে ও এলএসজেএন ইনস্ট্রিটিউটশনের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন নাহার (১৪)কে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাবসহ উতক্ত্য করে আসছিল। জেসমিন বখাটে পাপ্পুর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিগত ২০১৪ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে পাশ্ববর্তী ছত্রহাজারী গ্রামের আজগরের বাড়ি নিকট পৌঁছালে পাপ্পু জেসমিনকে ছোরার ভয় দেখিয়ে রাস্তার পাশে বাগানে নিয়ে মুখে ওড়না পেচিয়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। জেসমিন ধর্ষণের ঘটনাটি তার মাকে জানায়। এরপর জেসমিনের মা নাদিরা বেগম সৃষ্ট ঘটনাটি পাপ্পুর অভিভাবকদের অবহিত করেন। পাপ্পুর অভিভাবকরা ঘটনাটি শালিসের মাধ্যমে মীমাংশা করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। কথিত শালিস-মিমাংশার সুযোগে লম্পট পাপ্পু সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। এরপর জেসমিনের মা নাদিরা বেগম স্থানীয় ক্লিনিকের ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। ডাক্তার জানায়, জেসমিন অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে। জেসমিনের অন্তঃসত্বার বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে গ্রামের মাতুব্বরা কয়েক দফায় শালিস সভা করেও ব্যর্থ হয়। সামাজিক ভাবে বিচার না পেয়ে অবশেষে জেসমিন লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১, তারিখ-০১.০৩.১৫ইং। মামলা দায়ের করার পর গত ৭ মার্চ নড়াইল সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা জেসমিনের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষিতা জেসমিন জানায়, ‘বখাটে ও লম্পট পাপ্পুর ধর্ষণের ফলে আমি ৬ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছি। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই’। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিমাই চন্দ্র মন্ডল জানান, অভিযুক্ত প্রধান আসামী পাপ্পু বিদেশে অবস্থান করায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না, তবে ধর্ষকের পিতা উতার শেখ (৫৩) কে মঙ্গলবার রাতে আটক করা হয়েছে।
(আরএম/পিবি/মার্চ ১১,২০১৫)