তামিমের পাশে সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল
স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ৪৮তম ওভারের চতুর্থ বল। তাসকিন আহমেদের বলটা বাতাসে ভাসিয়ে দিলেন বাংলাদেশ আর জয়ের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো ক্রিস ওকস। লং-অনে ক্যাচটা তালুবন্দী করতে পারলেন না তামিম ইকবাল। কিন্তু তামিমের হাত তো বরাবরই বিশ্বস্ত। তিনিই তো বাজপাখির মতো উড়ে লুফে নেন ক্যাচ!
অথচ সেই তামিম কিনা...বিশ্বাসই হচ্ছিল না দর্শকদের। এ কী করলেন তিনি! অবশ্য কপাল ভালো, সেই ‘মিসে’র চড়া মূল্য অবশ্য দিতে হয়নি বাংলাদেশকে। রুবেল হোসেনের দুটি রিভার্স সুইংয়ের হাত ধরে বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন তামিম। ব্যাপারটি চোখ এড়ায়নি বাংলাদেশের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট লর। তামিমের ক্যাচ মিসকে শিক্ষকসুলভ সহানুভূতির সঙ্গেই দেখছেন তিনি।
ল বললেন, ‘ওই পজিশনে আমিও ফিল্ডিং করেছি। কোটি মানুষের সামনে ক্যাচ ফেলেছি। ওই সময় আসলে কারও ভালো লাগে না। মনে হয়, মাটি দুই ভাগ হয়ে আমাকে নিচে নিয়ে যাক। তামিম কিন্তু সেই খেলোয়াড়দের একজন, যে মুডে থাকলে যেকোনো পরিস্থিতিতে দলকে জিতিয়ে দিতে পারে। আর না থাকলে কিছু হবে না। ওই সময় ওর ভেতর ভীষণ চাপ জেঁকে বসেছিল। হয়তো ভেবেছিল ক্যাচটা যদি হাতছাড়া হয়...। আর তাতেই বল থেকে নজর সরে গিয়েছিল। ক্যাচ হাতছাড়ার পর খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিল সে। ম্যাচের পর অধিনায়ক মাশরাফিকে বলতে শুনেছি, ক্যাচটার জন্য খুব খারাপ লেগেছে ওর। সবার কাছে ক্ষমাও চেয়েছে। ওর কষ্টটা বুঝতে পারছি। তবে কপাল ভালো, এ জন্য খুব একটা মূল্য দিতে হয়নি দলকে।’
২০১২ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে ছিলেন ল। সেই সময়ের স্মৃতি মনে করে বললেন, ‘এশিয়া কাপে আমি এ দলটার সঙ্গে ছিলাম। সেবার শ্রীলঙ্কা, ভারতকে হারিয়েছিলাম আমরা। জয়ের পর মধ্যরাতের আগে আমাদের টিম বাস হোটেলের উদ্দেশে স্টেডিয়াম ছাড়তে পারেনি। কারণ, ৮০ হাজার জনতা তখন রাস্তায় উৎসবে মেতেছে। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর ধারণা করছি, ঢাকা ও গোটা বাংলাদেশে ওই ধরনের উৎসবই চলছে। বাংলাদেশিরা জানে, কীভাবে উৎসব করতে হয়।’ তথ্যসূত্র : সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।
(ওএস/এএস/মার্চ ১১, ২০১৫)