স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে বারবার ‘প্রতিশোধ’ শব্দটি আসছে। তবে নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বলে দিয়েছেন-বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিশোধ নয়, আরেকটি চ্যালেঞ্জ জয়ের জন্যই মাঠে নামবে তার দল। শুক্রবার স্বাগতিকদের আঙিনা হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে বাংলাদেশ খেলতে নামবে দুই দেশের সাম্প্রতিক মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেকখানি এগিয়ে থেকে। মাঠে গড়ানো আগের সাতটি ম্যাচেই কিউইদের হারিয়েছে তারা।

২০১০ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে নিউ জিল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে তারা সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল ৩-০ ব্যবধানে। হ্যামিল্টনের ম্যাচের আগে এই কারণেই প্রতিশোধের বিষয়টি আসছে। তবে ম্যাচের আগের দিন বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে ম্যাককালাম খুব সাবধানেই প্রতিশোধ বিষয়টি এড়িয়ে যান। “প্রতিশোধ নেওয়ার সময় সম্পর্কে আমি জানি না। কিন্তু আমরা সত্যিকার অর্থেই গুরুত্বপূর্ণ একটি টুর্নামেন্টের মাঝখানে রয়েছি এবং আগামীকাল (শুক্রবার) আমাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।”

বাংলাদেশ যে নিজেদের পরিবেশে ওই সাফল্য পেয়েছিল তা মনে করিয়ে দিয়ে কিউই অধিনায়ক বলেন, “নিশ্চিতভাবে আমরা শোধ নেওয়ার ওপর মনোযোগ দিচ্ছি না।” ম্যাককালামের কথায় অবশ্য বোঝা যাচ্ছে, প্রতিশোধ শব্দটি মুখে না বললেও মনের মধ্যে তা ঠিকই লুকিয়ে রেখেছে নিউজিল্যান্ড দল। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটিকে আর সব খেলার মতোই ভাবছেন তিনি।

“গত কয়েকদিন ধরে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। সামনে কিছু বড় পরীক্ষাও আসছে এবং আগামীকালও এর ব্যতিক্রম নয়।” ম্যাককালাম যতই প্রতিশোধের বিষয়টি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন না কেন, নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের কথায় বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এর আগে যেমন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট বাংলাদেশ দলকে একটা চোখ রাঙানিই দিয়ে রেখেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের টানা সাতটি ম্যাচ হারার বিষয়টি উল্লেখ করে বোল্ট সবাইকে এটিও মনে করিয়ে দেন যে, বাংলাদেশও নিউজিল্যান্ডে টানা ৬টি ম্যাচ হেরেছিল। এই ৬টি ম্যাচের তিনটি ২০০৭ সালে। বাকি তিনটি ২০১০ সালে।

(ওএস/পি/মার্চ ১২, ২০১৫)